মহামারির প্রভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দুবাইয়ের ৭০ শতাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
বৈশ্বিক চাহিদায় ধ্বস দেখা দেওয়ার প্রেক্ষিতে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিশ্বব্যাপী চলমান লকডাউনের প্রভাবে এই ধ্বস অব্যাহত থাকার আশঙ্কা করাও হচ্ছে।
এই অবস্থায় আগামী ছয় মাসের মধ্যে বন্ধ হতে বাধ্য হবে দুবাইয়ের ৭০ শতাংশ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। গত বৃহস্পতিবার দুবাই চেম্বার্স অব কমার্স প্রকাশিত এক জরিপ প্রতিবেদনে এই আশঙ্কাজনক তথ্য প্রকাশিত হয়।
ব্যবসায়ী জোটটি প্রতিবেদন প্রস্তুতকালে, স্থানীয় সকলখাতের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ১২২৮ জন শীর্ষ নির্বাহীর সাক্ষাৎকার নেয়। গত ১৬ থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত এসব সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে জরিপের অংশ হিসেবে। ওই সময়ে আরব আমিরাত সবচেয়ে কঠোর 'লকডাউন' বিধিনিষেধের আওতায় ছিল। খবর সিএনবিসির।
জরিপে ক্ষুদ্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ ছিল মোট সংখ্যার তিনি-চতুর্থাংশ । এদের অধিকাংশেরই কর্মীসংখ্যা ২০ জনের কম।
এসব প্রতিষ্ঠানের দুই-তৃতীয়াংশ নির্বাহী আগামী ছয় মাসের মধ্যে তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে এমন ঝুঁকিকে 'মধ্যম' পর্যায়ের বাস্তবতা হিসেবে উল্লেখ করেন।
এর মধ্যে ২৭ শতাংশ একমাসের মধ্যে (চলতি মে নাগাদ) তাদের ব্যবসা হারানোর আশঙ্কা প্রকাশ করেন। আর ৪৩ শতাংশ ৬ মাসের মধ্যে ব্যবসা বন্ধের কথা জানিয়েছেন।
পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ের বৈচিত্র্যপূর্ণ অর্থনীতি আছে দুবাইয়ের। তেল নির্ভরতা কাটিয়ে উঠে আমিরাতি প্রদেশটি এখন সিংহভাগ আয়ের জন্য নির্ভর করে; পর্যটন, আতিথেয়তা, বিনোদন, আবাসন, খুচরা ব্যবসা, পরিবহন ইত্যাদি ধরনের ব্যবসার ওপরে।
দুবাইয়ের হোটেল এবং রেস্তোরাঁগুলো বিশ্বখ্যাত। তবে জরিপে অংশ নেওয়া অর্ধেক হোটেল এবং রেস্তোরাঁই চলতি মে মাসেই তাদের ব্যবসা বন্ধের ঝুঁকি রয়েছে বলে জানায়। একই আশঙ্কা ব্যক্ত করে ৭৪ শতাংশ ভ্রমণ এবং পর্যটন ব্যবস্থাপনা কোম্পানি। মালামাল পরিবহন, গুদামজাতকরণ এবং তা সরবরাহের সাথে যুক্ত ৩০ শতাংশ কোম্পানিও এ সময়সীমা সম্পর্কে একমত পোষণ করে।