ভারতের অন্যতম বাণিজ্য সহযোগী বাংলাদেশ: প্রণয় ভার্মা
অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করতে চায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রামের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদ এবং উন্নয়ন সমন্বয়'র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অন্যতম বাণিজ্য সহযোগী। বিশেষ করে চট্টগ্রামের সাথে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য উভয়দেশের মধ্যে ট্রেড ফ্যাসিলিটি আরো বাড়াতে হবে।
দুইদেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে সমুদ্র, নৌ ও স্থল বন্দরসমূহে কানেক্টিভিটি ও আধুনিকায়নের ওপরে জোর দেওয়ার পাশাপাশি সীমান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ভারত আরও ৭টি স্থল বন্দর গড়ে তোলার চিন্তা করছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারম্যান ড. আতিউর রহমান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, "অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ সম্পন্ন হলে বদলে যাবে চট্টগ্রাম। তবে শুধু প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেই হবে না তা সমন্বয় করতে হবে। এই সমন্বয়ের জন্য কো-অর্ডিনেটিং টাস্কফোর্স করা যায় কি-না সেটা ভেবে দেখা দরকার। অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রম দরকার। ফরোয়ার্ড এবং ব্যাংকওয়ার্ড লিংকেজ করতে হবে।"
সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আব্দুল্লাহ নদভি। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে চট্টগ্রাম হলো হৃদস্পন্দন। বাংলাদেশের আমদানি ৯০ শতাংশ এবং রপ্তানির ৮৫ শতাংশ হয় চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হলে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে।
সেমিনারে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, বাংলাদেশ ভারতের ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর উত্তম কুমার বড়ুয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম চেম্বারের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তরফদার রুহুল আমিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।