সর্বজনীন পেনশন আমানতের ৫০% পর্যন্ত ঋণ হিসেবে নেওয়া যাবে
সর্বজনীন পেনশনের টাকা জমার একটি অংশ চাঁদাদাতারা ঋণ হিসেবেও নিতে পারবেন।
নিজের বা পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা, গৃহ নির্মাণ, গৃহ মেরামত বা সন্তানের বিবাহের ব্যয়ের জন্য চাঁদাদাতা ইচ্ছা করলে পেনশন তহবিলে জমাকৃত অর্থের ৫০% পর্যন্ত ঋণ হিসেবে উত্তোলন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের (এনপিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) ঢাকায় মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এছাড়া জমা হওয়া অর্থ নিরাপদ ও লাভজনক খাতে বিনিয়োগের জন্য একটি এক্সপার্ট কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।
যেখানে প্রাইভেট সেক্টরের প্রতিনিধি, অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার, সিকিউরিটি এক্সেচেঞ্জ কমিশনের সদস্য, একাডেমিক ও সিভিল সার্ভিসের প্রতিনিধিরা থাকবে।
তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিমের চাঁদাতে আলাদা তহবিল হবে। সেই চাঁদা ব্যবহার হবে আরেকটা বিধিমালার মাধ্যমে। সেই বিধিমালা তৈরি করা হচ্ছে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় কবিরুল ইজদানী বলেন, "আমরা টার্গেট করেছি ট্রেজারি বন্ড ও ট্রেজারি বিলে ইনভেস্ট করবো। যেটি আমাদের নিশ্চিত ও নিরাপদ বিনিয়োগ হবে। বড় অর্থের সংস্থান হবে এক সময়, সেই তহবিল ব্যবস্থাপনার জন্য একটি কমিটি হবে। তারা চিন্তা করবে কোথায় অর্থ বিনিয়োগ হবে।"
তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতে যখন আরেকটি পদ্মা ব্রিজের মতো ব্রিজ তৈরী হবে তখন এমন বড় স্কিমে ফান্ড দেওয়া হবে। বিশ্বের যত পেনশন ফান্ড আছে প্রত্যেকে চান একটা নিরাপদ বিনিয়োগ করতে যেখানে মুনাফাটা নিশ্চিত করা যায়।"
তিনি বলেন, "সাসটেইনেবিলিটির জন্য প্রথম যেটা প্রয়োজন সেটা হলো জনগণের আস্থা অর্জন। আর এজন্য 'সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩' জাতীয় সংসদে পাশ হয়েছে।"
তিনি বলেন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মতো যুদ্ধের কারণে শাসন পরিবর্তন বা বৈশ্বিক পরিস্থিতি খারাপ হলেও সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিরাপদ থাকবে।
"এর নিরাপত্তা নিয়ে সন্দেহ করার কোন কারণ নেই। এটি জনগণের স্কিম, এবং এটি নিরাপদ থাকুক তা সরকারই নিশ্চিত করবে," বলেন তিনি।
এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি আরদাশির কবির অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।