ইমরান খানের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়লো ১৪ দিন
রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁসের অভিযোগ তদন্ত করতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জেল হেফাজতের মেয়াদ ১৪ দিন বাড়িয়েছেন পাকিস্তানের একটি আদালত।
বুধাবার (৩০ আগস্ট) ইমরান খানের আইনজীবী নাঈম পাঞ্জুথা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
বেআইনিভাবে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির অপরাধে দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গত ৫ আগস্ট অ্যাটোক কারাগারে তিন বছরের কারাদণ্ড শুরু করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান। সেখানেই এই বিশেষ আদালত কার্যক্রম পরিচালনা করে বলে জানিয়েছেন নাঈম।
যদিও মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) একটি আদালত ইমরানের দুর্নীতির মামলার সাজা স্থগিত করে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে বলে রায় দেন; কিন্তু রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁসের মামলার তদন্ত চলমান থাকায় তিনি এখনও কারাগারে রয়েছেন।
গত বছরের এপ্রিলে সংসদীয় আস্থা ভোটে হেরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীত্ব হারানোর পর থেকে ৭০ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেট অধিনায়কের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এরমধ্যে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)-এর দায়ের করা তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় গত ৫ আগস্ট ইসলামাবাদের একটি বিচারিক আদালত ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করে। রাষ্ট্রীয় উপহারের বিবরণ গোপন করার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের পরেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী পাঁচ বছরের জন্য সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে ছিটকে পড়েন। তাকে নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
যদিও তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। ইমরানের দাবি, তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।