সরকারি হাসপাতালে প্রথমবারের মতো টেস্টটিউব শিশুর জন্ম
দেশের একটি সরকারি হাসপাতালে প্রথমবারের মতো একটি 'টেস্টটিউব শিশু'র জন্ম হয়েছে। এর মাধ্যমে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য এ ধরনের চিকিৎসা পরিষেবার নতুন যুগের সূচনা হলো।
বৃহস্পতিবার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডিএমসি'র গাইনি ও অবস বিভাগের অধ্যাপক ডা. ফাতেমা রহমান বলেন, 'প্রায় এক সপ্তাহ আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কন্যাশিশুটির জন্ম হয়েছে এবং শিশুটি এখন সুস্থ রয়েছে।'
টেস্টটিউব শিশুটির জন্মসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, টেস্টটিউব পদ্ধতি বন্ধ্যাত্বের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসাপদ্ধতি হিসেবে কাজ করে। এ পদ্ধতিতে নারীর ডিম্বাণু এবং স্বামীর শুক্রাণু সংগ্রহ করে ল্যাবে নিষিক্ত করে কৃত্রিমভাবে ভ্রূণ তৈরি করা হয়। এরপর ভ্রূণটি নারীর জরায়ুতে স্থাপন করা হয়। কৃত্রিম ভ্রূণ গর্ভে স্বাভাবিক ভ্রূণের মতোই বৃদ্ধি পায়, যার ফলে নয় মাস পর শিশুর জন্ম হয়।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ ডা. ইভা রানী নন্দী টিবিএসকে বলেন, আইভিএফ বা টেস্টটিউব পদ্ধতি প্রায়ই অনেক ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসার চূড়ান্ত ধাপ হিসেবে বিবেচিত হয়।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, 'প্রাইভেট সেন্টারের মান অনুযায়ী এই চিকিৎসার খরচ তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা। তবে আশা করা যাচ্ছে, এখন থেকে ঢাকা মেডিকেল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফার্টিলিটি সেন্টার কম খরচে এ চিকিৎসা প্রদান করবে। দরিদ্র, নিঃসন্তান দম্পতিরা সেখানে চিকিৎসা নিতে পারবেন।'
বাংলাদেশে ২০০১ সালে একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রথম টেস্টটিউব শিশুর জন্ম হয়।