টেকনাফে 'বন্দুকযুদ্ধে' ডাকাত-ইয়াবা কারবারিসহ নিহত ৪
কক্সবাজার জেলার টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধের' ঘটনায় তিনজন ডাকাত ও এক মাদক চোরাকারবারি নিহত হয়েছেন।
আজ (৩ আগস্ট) ভোররাত সাড়ে তিনটায় উপজেলার নুরুল্লার ঘোনা নামক পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে সাতটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র, পাঁচটি কিরিচ ও ২৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, টেকনাফের রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার আব্দুল হাকিমের সহযোগী মো. জুনায়েদ, মো. আইয়ুব ও মেহেদী এবং মাদারীপুরের কালকিনি এলাকার মৃত জহিরুল ইসলামের ছেলে মাদক চোরাকারবারি ইমরান মোল্লা (২৭)।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে ১০/১৫ জনের একটি ডাকাতদল, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে যায় পুলিশ। পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে ডাকাতরা গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে এসব অস্ত্র ও গুলিসহ তিন ডাকাতের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
এ বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন পুলিশের ৪ কর্মকর্তা। তারা হলেন - অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ান, পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, এএসআই সজিব ও কনস্টেবল মেহেদী।
প্রদীপ কুমার আরও জানান, অপর বন্দুকযুদ্ধটি হয় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে বাহারছড়ার দরগাহছড়া এলাকায়। এতে মাদক চোরাকারবারি ইমরান মোল্লা নিহত হন।
সেখান থেকে দুইজন মাদক চোরাকারবারিকে আটক করেছে পুলিশ। এরা হলো, নোয়াখালীর সাইফুদ্দিন শাহিন (৩৮) ও টেকনাফের মো. সিদ্দিক (২৭)।
পুলিশ নিহত সকলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ দুটি ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।