ভিআইপি মুভমেন্ট, রাজনৈতিক কর্মসূচি: তীব্র যানজটে ভুগছে ঢাকা
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকাল থেকেই স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত যানজটে ভুগছে ঢাকাবাসী। ভিআইপি মুভমেন্ট ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে স্থবির হয়ে আছে ঢাকার অধিকাংশ সড়ক।
গণমাধ্যম সূত্র অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ঢাকায় পৃথক দুটি ইভেন্টে যোগ দিয়েছেন।
এদিকে জাতীয় শ্রমিক লীগের ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীজুড়ে সমাবেশ করেছে সংগঠনটি।
এছাড়া, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৪, ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডেও কর্মসূচি পালন করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
এদিকে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্র সম্মেলন করছে বিএনপি।
জানতে চাইলে শেরেবাংলা নগর ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার তারেক সেকান্দার অভি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আজকে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস হওয়ায় যানজট অনেক বেশি। আমরা রাস্তা ক্লিয়ার রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা (বিজয় সরণি ও তেজগাঁও ট্রাফিক জোন) শহরের মাঝামাঝি অবস্থানে আছি। গুলশান ও রমনার মতো অন্য ট্রাফিক জোনগুলোতে যানজট থাকলে বিজয় সরণিতে সাধারণত বেশি জ্যাম পড়ে।"
তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের ইনচার্জ মোস্তাক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ভিভিআইপি চলাচল ও মগবাজার সড়কে একটি গার্ডার পড়ে যাওয়ার কারণে যানজট বেড়েছে। সকাল ১০টার দিকে সড়ক থেকে গার্ডার সরানোর পর যানজট কিছুটা কমে।
যানজটে অতিষ্ট এক যাত্রী বলেন, "যদি ভিআইপি মুভমেন্টের জন্য রাস্তা বন্ধ থাকে, তাহলে আমাদেরকে আগেই তা জানানো উচিত।"
যানজটে নাকাল অনেক যাত্রী সামাজিক মাধ্যমেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ইমজির মল্লিক ফেসবুকে লিখেছেন "এ মুহুর্তে বিজয় সরণি এড়িয়ে চলুন। সবকিছুই থেমে আছে।"
নাফিজ ইমতিয়াজ নামক আরেকজন সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, সকাল ৯টায় শান্তিনগর এলাকা থেকে যাত্রা শুরু করে তিনি সাড়ে ১০টায়ও মগবাজার এলাকা অতিক্রম করতে পারেননি।
"৯টায় শান্তিনগর, সাড়ে ১০টায় মগবাজার। ৯০ মিনিটে মাত্র ২ কিলোমিটার...আমি বলতে পারতাম মগবাজার এড়িয়ে চলুন কিন্তু মনে হচ্ছে সব রাস্তারই একই অবস্থা," বলেন নাফিজ।
আরেক যাত্রী ওয়াসিমা রওনক খান রিশতা লিখেছেন, "বাংলামোটর মোড়ে প্রায় ৪০ মিনিট আটকে আছি…কেউ কি জানেন এখানে কী গজব পড়েছে?"
অফিসগামী রুমানা জানান, আধা ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তিনি পান্থপথে আটকে ছিলেন।
দুপুর দেড়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঢাকার পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি।