কুষ্টিয়ায় তিন দিনের লালন মেলায় লাখ টাকার ব্যবসা
ফকির লালন শাহের তিরোধান দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়া গ্রামে কালীনদীর ধারে তিনদিনের লালন শরণ উৎসবের পাশাপাশি গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তিনদিনের এই মেলায় ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকার উপরে ব্যবসা করেছেন।
ফকির লালন শাহের ১৩৩তম তিরোধান দিবস মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়ে তিনদিনব্যাপী লালন মেলা ও উৎসব শেষ হয় ১৯ অক্টোবর। মেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে দুই শতাধিক অস্থায়ী দোকান ও স্টল গড়ে ওঠে।
প্রতিবছরই সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা ও লালন একাডেমির আয়োজনে ১লা কার্তিক থেকে তিন দিনের এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়; মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সন্ধ্যা থেকে জাঁকজমকভাবে শুরু হয়ে সারারাত চলে।
এবারের মেলার মাঠ ২৯ লাখ ১৩ হাজার টাকায় ইজারা দেয় লালন একাডেমী, যা গতবার ছিলো ২৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা। গতবারের তুলনায় এবার ব্যবসা অনেক ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এবারের মেলায় সর্বোচ্চ একটি খাটের দাম ছিল ৪ লাখ টাকা।
তবে শীতের প্রবাহ কম থাকায় কম্বলের দোকানগুলোতে বেচাকেনা গতবারের তুলনায় কম ছিল বলে জানিয়েছেন দোকানিরা।
মাসুদ নামের এক কম্বল দোকানি জানান, তিনি ঢাকা থেকে এসেছেন। শীত না থাকায় গতবারের তুলনায় এবারের ব্যবসা কম, গতবার ৩ দিনে তিনি প্রায় ১৫ লাখ টাকার কম্বল বিক্রি করেছিলেন।
তবে লালন মেলার মাঠ ইজারাদার আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "এবার ২৯ লাখ ১৩ হাজার টাকায় মাঠ পেয়েছি। আমার কাছে যতটুকু তথ্য আছে তাতে আমি বলতে পারি এবার লালন মেলায় ব্যবসায়ীরা কোটি টাকার উপরে ব্যবসা করেছেন।"
মেলায় স্কয়ার ফিট হিসেবে ১০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়।
তবে বেশিরভাগ স্টল ভাড়া নেওয়া ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এবার স্টল ভাড়া গতবারের তুলনায় অতিরিক্ত হওয়ায় বেচাকেনা হলেও লাভের পরিমাণ অনেক কম ছিল।