চট্টগ্রামে বিএসআরএম কারখানায় দগ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরও ৪ জন
চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জের বিএসআরএম ফ্যাক্টরিতে কাজ করার সময় লোহার গলিত সীসায় দগ্ধ হয়ে মো. কাশেম (৫২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় দগ্ধ আরও চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কাশেমের বাড়ি মিরসরাইয়ের নিজামপুরে। তার দুই ছেলে এক মেয়ে।
নিহত এই শ্রমিকের আত্মীয় বজলুর রহিম বলেন, কারখানায় বিস্ফোরণ হয়ে কাশেমের মৃত্যু হয়েছে। তবে কি কারণে এ বিস্ফোরণ হয়েছে তা আমাদের জানাতে পারিনি বিএসআরএম কর্তৃপক্ষ।
চমেক হাসপাতালে দগ্ধ হয়ে ভর্তি হওয়া বাকী চারজন হলেন-গিয়াস উদ্দিন (২৪), নুর হোসেন (৩০), মহিউদ্দিন (২৮) এবং নজরুল ইসলাম (২৪)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মিথুন পালিত বলেন, তাদের অনেকের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তিনি বলেন, "গিয়াস উদ্দিনের ৯৮ শতাংশ শ্বাসনালী পুড়ে গেছে, নজরুল ইসলাম ১০০ শতাংশ, মহিউদ্দিন ৮০শতাংশ এবং নুর হোসেনের ৬০ শতাংশ ইনহলেশন ইনজুরিতে জ্বলছে।"
দুর্ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিএসআরএমের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) তপন সেনগুপ্ত বলেন, কারখানায় দুর্ঘটনার কথা শুনেছি। তবে কী কারণে দুর্ঘটনা হয়েছে তা বিস্তারিত জানিনা। খবর নেয়ার চেষ্টা করছি আমরা।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ফ্যাক্টরিতে লোহা গলানোর সময় তরল সীসায় দগ্ধ অবস্থায় ৫ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে কাশেম নামের একজন শ্রমিক মারাও যায়। তাছাড়া বাকী চার জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
একই প্রসঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া জোয়ারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. ফরিদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। তবে কি কারণে দুর্ঘটনা হয়েছে সেই বিষয়ে জানার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগযোগ করা হচ্ছে।