আনসারকে আটক ও তল্লাশির ক্ষমতা না দেওয়ার সুপারিশ সংসদীয় কমিটি
আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যদের অপরাধীকে আটক, দেহ তল্লাশী ও মালামাল জব্দ করার ক্ষমতা না দিতে সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনে কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়।
এ বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত সোমবার সংসদে আনসার ব্যাটালিয়ন আইন, ২০২৩ উত্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এনিয়ে আপত্তি জানান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম। পরে কন্ঠভোটে তার আপত্তি নাকচ হয়ে যায়। সংসদে বিল তোলার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, প্রস্তাবিত বিলে কোনো সাংঘর্ষিক বিধান থাকলে তা সংসদীয় কমিটিতে সংশোধন করা যাবে।
পরে বিলটি পর্যালোচনার জন্য তিন দিনের মধ্যে পর্যালোচনা করে মতামত জানাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
প্রস্তাবিত 'আনসার ব্যাটালিয়ন বিল, ২০২৩' এর ৮ ধারায় বলা হয়েছে, 'কোনো ব্যাটালিয়ন সদস্যের সামনে সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমোদনক্রমে অপরাধীকে আটক করে অবিলম্বে পুলিশের কাছে সোপর্দ করবে এবং ক্ষেত্রমতো জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি; কোনো স্থানে প্রবেশ ও তল্লাশি এবং মালামাল জব্দ করতে পারবে।'
পর্যালোচনার পর, ৭ ও ৮ ধারাসহ কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব দিয়েছে কমিটি। সাধারণত বিলে সংসদীয় কমিটির সুপারিশগুলো শেষপর্যন্ত রাখা হয়।
সংসদীয় কমিটির সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা ইউএনবি জানায়, সংশোধনের প্রস্তাব আসে পুলিশের কাছ থেকে।
এছাড়া, আনসার সদস্যের বিদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রাখার বিধান বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, পুলিশের মধ্যেও ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয় আনসার ব্যাটালিয়নকে এমন ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাবে। পুলিশ বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেন। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আনসার বাহিনীকে আটকের ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে না।