নেত্রকোনায় ১১ ব্যাংক শাখার ২৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনাক্রান্ত
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নেত্রকোনায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও মারাত্মক সংক্রমণ ঝুুঁকিতে পড়েছেন। রোববার পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১১টি ব্যাংক শাখার ২৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রাণঘাতী রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
এ কারণে ব্যাংকিং সেবা দিতে গিয়ে গোটা জেলার ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আতঙ্কে ভুগছেন। অন্যদিকে গ্রাহকরাও ব্যাংকে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রোববার পর্যন্ত জেলার ছয় উপজেলায় বিভিন্ন ব্যাংকের ১১টি শাখা কার্যালয়ের ২৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: অগ্রণী ব্যাংকের নেত্রকোনা শাখায় একজন, কেন্দুয়ায় শাখায় পাঁচজন, সোনালী ব্যাংকের কেন্দুয়া শাখায় পাঁচজন, মদন শাখায় তিনজন, পূর্বধলা শাখায় দুইজন, আটপাড়া শাখায় একজন, রূপালী ব্যাংকের কেন্দুয়া শাখাায় একজন, কৃষিব্যাংকের কেন্দুয়া শাখায় তিনজন, সাহিতপুর শাখায় দুইজন, দুর্গাপুর শাখায় একজন ও জনতা ব্যাংকের পূর্বধলা শাখায় একজন। ব্যাংক কর্মকর্তাদের সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি কেন্দুয়া উপজেলায়। আক্রান্তরা নিজ নিজ বাসাবাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সোনালী ব্যাংকের নেত্রকোনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী মহা ব্যবস্থাপক রাসমোহন সাহা বলেন, গত ঈদের আগে বিভিন্ন প্রকারের ভাতা (বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, হিজড়া ভাতা প্রভৃতি) বিতরণ করতে গিয়ে গ্রাহকদের প্রচুর ভিড় সামলাতে হয়েছে। ওই সময় চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব হয়নি। এ কারণে অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, তবে এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে আরও বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে। আক্রান্ত শাখাগুলোতে অন্যান্য শাখা থেকে অতিরিক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী পাঠিয়ে সেবা চালু রাখা হয়েছে।
কৃষি ব্যাংকের নেত্রকোনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম বলেন, কিছু অসচেতন গ্রাহক কোনোভাবেই নিরাপদ দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানতে চায় না। এদের সেবা দিতে গিয়েই বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বোচ্চ সাবধানে সেবা দিতে বলা হচ্ছে।