৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নৌকা নিয়ে সমাবেশে বরগুনার হুমায়ুন
পিকাপ ভ্যানের উপর সাজানো নৌকা নিয়ে প্রায় ৫০০ কিমি পথ পাড়ি দিয়ে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে অয়োজিত জনসভায় যোগ দিতে সুদুর বরগুনা থেকে এসেছেন হুমায়ুন কবির নামে এক যুবলীগ নেতা।
তিনি বরগুনা জেলা যুবলীগের সহসভাপতি ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বরগুনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক।
২৩ অক্টোবর সকালে বরগুনা থেকে রওনা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে সম্মান জানিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে ২৫ অক্টোবর রাত ৩টায় চট্টগ্রাম এসে পৌঁছান তিনি।
গত দুইদিন ধরে চট্টগ্রাম নগরী ও উত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালিয়ে শনিবার ভোর বেলায় এসে হাজির হন সমাবেশ স্থলে। সাথে এনেছেন খাবার স্যালাইনসহ নানা নানা ঔষধ। সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের মাঝে খাবার স্যালাইন বিতরণ করছেন সকাল থেকে।
হুমায়ুন কবির টিবিএসকে বলেন, "স্কুলজীবনেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ি। বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে থেকে রাজনীতি করে বর্তমানে জেলা যুবলীগের সহসভাপতি আমি। এই নৌকা নিয়ে দলের হয়ে গত ৩০ বছর ধরে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।"
তিনি বলেন, "২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে বাংলাদেশকে দরিদ্র দেশ হিসেবে চিনতো বিশ্ব। গত ১৫ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনা একের পর এক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও স্বনির্ভর দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। দেশের সকল মেগা প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমি নৌকা নিয়ে হাজির হয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ও সফলতার প্রচারণা চালিয়েছি।"
হুমায়ুন বলেন, "কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেলও জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতির অন্যতম সাহসী উদ্যোগ যা বদলে দেশের অর্থনীতির রূপরেখা। এই টানেলের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে এখানকার মানুষের মাঝে বয়ে যাচ্ছে আনন্দের স্রোতধারা। চট্টগ্রামবাসীর খুশির জোয়ারে একাত্মতা জানাতে বরগুনাবাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা নিয়ে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে আমরা এখানে এসেছি। চট্টগ্রামের মানুষের অভ্যর্থনায় আমি আমরা আনন্দিত।"
এদিকে, ভোর ৬ টা থেকে নানা রঙের টি-শার্ট ও ক্যাপ পরে আনোয়ারা উপজেলা কেইপিজেড মাঠে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে সমাবেশ স্থলে জড়ো হতে থাকে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সকাল ৯টা বাজার আগে মাঠে জড়ো হয় লক্ষাধীক জনতা। ৯টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি মোতাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে শুরু হয় সভার কার্যক্রম।
এরপর টানেল নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দিতে শুরু করেন স্থানীয় শীর্ষ নেতা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যরা।