শরীয়তপুরে স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় শতাধিক ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে নড়িয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এতে উভয়পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, মাজেদা শওকত হাসপাতালে ও শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শরীয়তপুর ২ আসনে (নড়িয়া-সখিপুর) আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খালেদ শওকত আলী। ওই দুইজন সহ বিভিন্ন দলের ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে নড়িয়া বাজারে স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের সমর্থকরা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এসময় দুই পক্ষেই একে অপরের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। শতাধিক ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় তারা।
যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলী বলেন, "মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সমর্থকদের নিয়ে নড়িয়ায় আসি। রাত সাড়ে ৯টার দিকে নড়িয়া বাজারে আমার সমর্থকদের উপর মোস্তফা শিকদার এবং সুমন শিকদারের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। তারা উভয়ই আওয়ামী লীগের সমর্থক।"
"হামলায় আমার সমর্থক কনক লস্কর, নড়িয়া পৌরসভা আওয়ামীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন হামজা, কেদারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তপন ছৈয়াল ও সুমন মোড়ল আহত হয়েছেন। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে। আমি এ ঘটনায় মামলা করব," বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও পানি সস্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক বলেন, "খালেদ শওকতের লোকজন ক্যাবল ব্যবসার বিরোধ নিয়ে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ায় জড়িয়েছেন। আমি ঘটনাটি জানার পর পুলিশ ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি। কেউ যাতে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট ও বিশৃঙ্খলা না করতে পারে তার দিকেও খেয়াল রাখার জন্য সকলকে অনুরোধ করেছি।"
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, "দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। উভয় পক্ষই থানায় অভিযোগ করবে বলে জানিয়েছেন। এখনো কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। এছাড়া ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছে।"