আওয়ামী লীগের পর এবার ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় কর্মসূচি ঘোষণা করল বিএনপি
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দল বিএনপি পরস্পরের কাছাকাছি স্থানে আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ধারাবাহিক হরতাল-অবরোধের মধ্যে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দলটি ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্ল্যাটফর্ম মায়ের ডাক-এর ব্যানারে ওইদিন সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি।
একই দিন বিকেল ৩টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জনসভা হওয়ার কথা রয়েছে।
গত ২৮ অক্টোবর একই দিনে বিএনপি, জামাত এবং আওয়ামী লীগের রাজধানীতে সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সংঘর্ষে ঢাকার কেন্দ্রস্থলে এক পুলিশ সদস্য নিহত হন।
২৮ অক্টোবর সমাবেশের পর থেকে সারাদেশে বিএনপির ১৩ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সহিংসতায় একজন সাংবাদিকসহ ১৪ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৪৯০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপিসূত্রে জানা গেছে, কারাবন্দি নেতাকর্মীদের স্বজনদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনকে ১০ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
দলটির বিশ্বাস, ওইদিন ১০ হাজারের বেশি মানুষ উপস্থিত হতে পারেন। এ কর্মসূচির লক্ষ্য দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির বাস্তবতা তুলে ধরা।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দলটি প্রতি বছর মানবাধিকার দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে।
'তবে এবার সে অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, কোনো সভা আয়োজনের জন্য উপযুক্ত পরিস্থিতি নেই,' বলেন তিনি।
তাই বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো কর্মসূচি না থাকলেও নির্যাতিত পরিবারের ব্যানারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলে জানান বিএনপির এ নেতা।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সরকারবিরোধী আন্দোলনে সব ইসলামী দলসহ সমমনা দলগুলোকে এক মঞ্চে আনতে বিএনপি নেতারা ইতোমধ্যে নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন।
শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে যৌথ আন্দোলনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে জানিয়ে তারা বলেন, 'প্রয়োজনে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। এখন আমরা এক ইউনিট হয়ে কাজ করব।'
আগামী ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতসহ অন্তত ৬৪টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে না।