হতদরিদ্রের তালিকায় ছেলে-ভাইয়ের নাম, চেয়ারম্যান বরখাস্ত
করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ও হতদরিদ্র পরিবারের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আড়াই হাজার টাকার তালিকায় নিজের ছেলে ও আপনভাইসহ নয়জন নিকট আত্মীয়ের নাম অন্তর্ভূক্ত করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার একটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
বরখাস্ত হওয়া ওই ব্যক্তির নাম মো. আলম মিয়া। তিনি উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। বুধবার (১৭ জুন) তাকে বরখাস্ত করে মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
তালিকা তৈরিতে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি করার অভিযোগের বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ- পরিচালক মোহাম্মদ শামসুজ্জামান ইউপি চেয়ারম্যান আলম মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলম মিয়ার বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ও হতদরিদ্রদের জন্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আড়াই হাজার টাকার তালিকা তৈরিতে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠে। ক্ষমতার অপব্যাবহার করে তালিকায় নিজের ছেলে ও আপন ভাইসহ নিকট আত্মীয়দের নাম অন্তর্ভূক্ত করেন তিনি। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়।
পরবর্তীতে অভিযোগ তদন্তে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন ও কসবা উপজেলা প্রশাসন। ওই দুই কমিটি চেয়ারম্যান আলম মিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি করে ছেলে ও আপন ভাইসহ নয়জন নিকট আত্মীয়ের নাম অন্তর্ভূক্ত করার সত্যতা পায়। এরপর ৮ জুন জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। পরবর্তীতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে সুপারিশ করে চিঠি দেন জেলা প্রশাসক।