অসহযোগ আন্দোলন, ২৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী অবরোধের ঘোষণা বিএনপির
আগামী ২৪ ডিসেম্বর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের অসহযোগ আন্দোলনের পদক্ষেপ ঘোষণা দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলের নেতাকর্মীদের কোনো মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়া আজ থেকে কর, পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ স্থগিত করে সরকারকে সহযোগিতা না করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
তিনি বলেন, বিএনপি ২১, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর তাদের অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে প্রচারণা চালাবে।
সূত্র জানিয়েছে, জামায়াতসহ আরও কয়েকটি দল অনুরূপ কর্মসূচি পালন করবে।
রিজভী বলেন, 'মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় আসামি দলের লাখ-লাখ নেতাকর্মীকে আজ থেকে আদালতে হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।'
এছাড়া দলটি ভোটারদের প্রতি ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করারও আহ্বান জানিয়েছে।
নির্বাচনের সময় রিটার্নিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টদের দায়িত্ব থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, 'নির্বাচনের নামে গেম খেলবেন না। ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। নির্বাচনে কারা এমপি হবেন তার তালিকা ইতোমধ্যে তৈরি করা হয়ে গেছে।'
জনগণের উদ্দেশে রিজভী আরও বলেন, 'সরকার ব্যাংকিং খাতের মাধ্যমে [দেশের] সিংহভাগ অর্থ লুট করেছে। তাই ব্যাংকে টাকা জমা রাখা নিরাপদ কি না তা ভেবে দেখুন।'
পরে আরেকটি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী ২৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী সকাল–সন্ধ্যা অবরোধের আহ্বান জানান।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, মিথ্যা মামলায় আসামি বিএনপির নেতা-কর্মীরা এখন থেকে আদালতে হাজিরা দেবেন না। সিনিয়র নেতাসহ কারাবন্দি নেতাকর্মীদের জামিন চাওয়া হবে; আটক নেতারা মু্ক্তি পাওয়ার পর অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আদালতে হাজির হবেন না । বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা কারাগারে বন্দি নেতাদের মুক্ত করার মামলার বিষয়ে কেবল আদালতে যাবেন।'
এর আগে ১৯ ডিসেম্বর সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছিল বিএনপি।
১০ ডিসেম্বর ১২–১৩ ডিসেম্বর আরেক দফা অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি।
৩০ অক্টোবর থেকে শুরু করে আজকের ঘোষণাসহ বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো ১১ দফা অবরোধ ঘোষণা করেছে।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর বিএনপি সড়ক, রেল ও নৌপথে দশম দফা ঘোষণা করে যা শেষ হয় ৮ ডিসেম্বর।
নভেম্বরজুড়ে বেশিরভাগ দিনেই দেশে হরতাল এবং অবরোধ ছিল।
গত ২৮ অক্টোবর থেকে রাজনৈতিক সমাবেশের জেরে সংঘর্ষ, মৃত্যু ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দল তাদের দাবি আদায়ে কট্টর রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করে আসছে।