পাকিস্তানের সিন্ধু নদীর ডলফিনদের কীভাবে বাঁচানো সম্ভব?
পাকিস্তানের সিন্ধু নদীতে বিচরণ করা ডলফিন স্থানীয়দের কাছে 'বুলহান' নামে পরিচিত। এদের মাঝে মাঝেই লাফিয়ে উঠে বুক ভরে শ্বাস নিয়ে আবার নদীর ঘোলা পানিতে হারিয়ে যেতে দেখা যায়।
২০০৪ সালের দিকে এ রকমই এক বিরল দৃশ্য ১৪ বছর বয়সী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে পরিবেশকর্মী হতে অনুপ্রাণিত করেছিল। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর নাতি (যাদের নামও একই)। তার বয়স এখন ৩৩ বছর। তিনি আল জাজিরাকে বলেন, "আমি ডলফিনগুলো সম্পর্কে জানতাম এবং মানুষ জানতো যে এরা নদীতেই আছে। আমার কাছে এদের অস্তিত্ব ছিল ইউনিকর্নের মতো।"
১৯০০ সালের শেষ থেকে ডলফিনগুলোর সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে কমতে থাকে। কারণ এদের মাংস ও চর্বির জন্য এদের শিকার করা হতো। কিন্তু ১৯৭০ সাল থেকে এদের শিকার করা বেআইনি ঘোষণা করা হলে এদের সংখ্যা আবার বাড়তে থাকে। এখন আরও বেশি ডলফিন নদীতে দেখা যাচ্ছে।
সিন্ধু নদীর ডলফিন কোনগুলো?
ইউনিকর্ন বাস্তবে না থাকলেও সিন্ধু নদীর ডলফিনরা বাস্তবে আছে। যদিও এদের সংখ্যা আগের থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে তারপরও এদেরকে আন্তর্জাতিক ইউনিয়নের প্রকৃতি সংরক্ষণের লাল তালিকায় রাখা হয়েছে। কারণ, এদের বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা এখনো আছে।
সিটাসিয়ান পরিবারের অন্তর্গত এই প্রাণির ভোঁতা তলোয়ারের মতো দীর্ঘায়িত নাক আছে, যেটি দিয়ে এটি নদীর তলদেশে খাবারের সন্ধান করে। এই পরিবারের অন্তর্গত অন্য প্রাণিগুলো হলো তিমি আর শুশুক। ভুট্টো বলেন, "তাদের চোখগুলো পিনের মাথার মতো ছোট, যা নদীর পলি থেকে তাদের রক্ষা করে।" এই কারণে ডলফিনগুলো আসলে চোখে ঠিকমতো দেখতে পায় না। কিন্তু আলোতে সামান্যতম নড়াচড়াও এরা টের পায়।
সিন্ধু নদীর ডলফিন (প্ল্যাটানিস্টা গ্যাংগেটিকা মাইনর) এবং গঙ্গা নদীর ডলফিন (প্ল্যাটানিস্টা গ্যাংগেটিকা গ্যাংগেটিকা) যেটিকে স্থানীয়ভাবে 'শুশু' নামে ডাকা হয়। মূলত ৫০ মিলিয়ন বছর আগে প্রাচীন টেথিস সাগরে সাঁতরে বেড়ানো প্রাচীন সিটাসিয়ানদের উপ-প্রজাতি এবং একমাত্র জীবিত সদস্য। টেথিস সাগরই আজকের ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং ভারত মহাসাগর।
যেহেতু ভূমির পরিবর্তনের পাশাপাশি সমুদ্রের পানির স্তর নিচে নেমে গেছে, শুধু মিঠাপানির সিন্ধু ডলফিনরাই অভ্যন্তরীণ নদীগুলোতে থেকে গেছে যেটি আজকের পাকিস্তান।
১৯ শতাব্দীর শেষদিকে এ ধরনের ডলফিনগুলো পাকিস্তানের সিন্ধু নদীর উপনদী বিয়াস নদীতে সাঁতরে বেড়াত যেটি ভারতের পাঞ্জাব পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
১৮৭৮ এবং ১৮৭৯ সালে ব্রিটিশ প্রাণিবিজ্ঞানী জন এন্ডারসন একটি পরিসংখ্যান চালিয়ে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতে ১০,০০০ এর মত ডলফিনের খোঁজ পেয়েছিলেন। ২০০১ সালে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের বন্যপ্রাণি অধিদপ্তর সিন্ধু নদীতে মাত্র ৬১৭টি ডলফিনের খোঁজ পেয়েছিল। ২০০৪ সালে এই সংখ্যাটি বেড়ে ১০০০ হয় এবং বর্তমানে এই সংখ্যাটি ২১০০তে পৌঁছায়। কিন্তু এটা কোনোভাবেই সন্তোষজনক উন্নতি না।
স্থানীয় বাস্তুসংস্থানের জন্য এই প্রাণিগুলোর অস্তিত্ব অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাদেরকে "নির্দেশক" প্রাণি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, প্রাণিগুলো যেই নদীতে বাস করে সেই নদীর সুস্থতাকে নির্দেশ করে। ভুট্টো বলেন, "ডলফিনগুলো মিঠাপানিতে ঠিকমতো প্রজনন ঘটানো মানে নদী ভালো আছে। যদি তারা এটা না করে তাহলে বুঝতে হবে নদীর বাস্তুসংস্থানে কোন সমস্যা আছে।"
কীভাবে ডলফিনের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেলো?
ভুট্টো স্কটল্যান্ডের সেন্ট এন্ড্রুস বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণি সংরক্ষণের অগ্রদূত গিল ব্রলিকের কাজের কথা জানান। তিনি ২০১২ সালে প্রমাণ করেন, বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি ব্রিটিশরা যেই বাঁধ এবং ব্যারেজ নির্মাণ করেছিল সেইগুলোর জন্য নদীর ডলফিনের সংখ্যা কমে গেছে।
ব্যারেজগুলো এমনভাবে বানানো হয়েছে যাতে এগুলো নদীর পানিকে সেচের কাজের জন্য খালের মধ্যে নিয়ে যেতে পারে। এর কারণে অনেক জায়গায় নদীগুলো ডলফিনের চলাচলের জন্য বেশ ছোট হয়ে যায়। পাশাপাশি নদীর অনেক জায়গা ব্যারেজের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।
ব্যারেজগুলো কৃত্তিমভাবে নদী এবং ডলফিনকে আলাদা করে দিয়েছে। যখন একটি ব্যারেজের দরজা খুলে দেয়া হয় তখন একটি ডলফিন নিচের দিকে ভেসে যায় এবং তারপরে ব্যারেজ দ্বারা সৃষ্ট শক্তিশালী স্রোতের কারণে উজানে সাঁতার কাটতে পারে না। নদীর নিচের অংশে আটকে থাকা ডলফিনগুলোর জন্য সমস্যা কারণ খালে পানি কমে যাওয়ার কারণে প্রত্যেক বছর কয়েক মাসের জন্য নদী শুকিয়ে যায়।
ভুট্টো বলেন, "ব্যারেজগুলোই আসলে উপনদীতে ডলফিনের সংখ্যা একদম কমিয়ে দিয়েছে।"
ভুট্টোর নিজের প্রদেশে নির্মিত শুক্কুর ব্যারেজ ১৯৩২ সালে খুলে দেওয়া হয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ও সেচ কাজের সুবিধার্থে। বর্তমানে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেচ ব্যবস্থার অংশ যেটি দিয়ে প্রায় ৩১ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে বিস্তৃত।
১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে আরও পাঁচটি ব্যারেজ নির্মাণ করা হয় যেগুলো হলো গুড্ডু ব্যারেজ, কোটরি ব্যারেজ (গুলাম মুহাম্মদ ব্যারেজ), তনসা ব্যারেজ, চশমা ব্যারেজ এবং জিন্নাহ ব্যারেজ।
নদীর ডলফিন একসময় এই জলপথে অবাধ রাজত্ব করত। ডলফিনগুলো হিমালয় এবং কারাকোরাম পর্বতমালার পাদদেশ থেকে সিন্ধুর বদ্বীপ পর্যন্ত সাঁতরাতো যেখানে সিন্ধু নদী এবং তাঁর সমস্ত উপনদী আরব সাগরে গিয়ে মিশতো। এই পুরো জলপথ ছিল ৩১৮০ কিলোমিটার (১৯৭৬ মাইল) পর্যন্ত বিস্তৃত। কিন্তু ডলফিনগুলো বর্তমানে ব্যারেজগুলোর মধ্যে ছয়টি ছোট ঘেরে আবদ্ধ হয়ে গেছে।
খাল দিয়ে সাঁতরানোর সময় অনেক ডলফিনই আটকা পরে কারণ খালগুলো অনেক স্থানেই ছোট। সবচেয়ে বাজে দিক হলো ডলফিনগুলো প্রায় মাছ ধরার জালে আটকা পরে।
ভুট্টো বলেন, "বাতাস নেওয়ার জন্য প্রতি দুই বা তিন মিনিট পর এদের উপরে উঠে আসতে হয়। যদি এরা জালে আটকে পরে তাহলে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই এরা ডুবে মারা যাবে। এরা অত্যন্ত সংবেদনশীল প্রাণি।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা আসলে জানি না ১৯০০ সালের মাঝামাঝি এদের সংখ্যা কেমন হ্রাস পেয়েছে। কারণ, এদের কোন খোঁজ রাখা হয়নি। উপনদীগুলোতে এরা প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং কিছুসংখ্যক ডলফিন শুধু বড় নদীতে টিকে ছিলো।"
১৯৬০ সালে পাকিস্তান সরকার ঘোষণা দেয় যে সিন্ধু নদীর ডলফিন পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কিন্তু একদল জেলে দুটো ডলফিনের খোঁজ পায়। তারপর একজন ইতালিয়ান গবেষকের সহায়তায় ১৯৬৯ সালে ১৫০টির মত ডলফিনের খোঁজ পাওয়া যায়।
১৯৭৪ সালে সিন্ধু বন্যপ্রাণি অধিদপ্তর গঠন করা হয়। এটি ডলফিন শিকারকে বেআইনি ঘোষণা করে এবং এদের সংরক্ষিত প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। ভুট্টো জানান, "২০২১ সালে সর্বশেষ অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে দেখা গেছে ডলফিনের সংখ্যা প্রায় ২১০০।"
বিপদ কি কেটে গেছে?
ভুট্টো জানান, ডলফিনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও তাদের কাজ শেষ হয়ে যায়নি। তাদের প্রতিনিয়ত প্রাণিগুলোর দেখভাল করতে হবে যেটি তাদের প্রাণিগুলোর ভবিষ্যৎ বুঝতে সাহায্য করবে।
তিনি বলেন, "যদি ডলফিন সুখী এবং সংখ্যায় বেশি হয়, তাহলে এর অর্থ পানির গুণমান মোটামুটি ভাল। এর অর্থ নদীতে পর্যাপ্ত খাবার যেমন মাছ, ঝিনুক এবং চিংড়ি আছে যেগুলো ডলফিন খায়। কিন্তু যদি ডলফিনের সংখ্যা কমে যায় তাহলে অবশ্যই কোনো সমস্যা আছে। নদীর অবস্থা ভালো না এটা বোঝা যাবে।"
নদীর পানি পাকিস্তানে সেচের কাজে ব্যবহার করা হয় এবং এই অঞ্চলের মানুষদের টিকে থাকার জন্য নদী গুরুত্বপূর্ণ। ভুট্টো ব্যাখ্যা করছিলেন, নদীর প্রবাহ ছাড়া ফসল ফলানো সম্ভব নয়। ভুট্টো ২০২৩ সালে এক্স-এ (পূর্বের টুইটার) একটি পোস্টে সতর্ক করে বলেছিলেন, "যদি সিন্ধু নদীর অববাহিকা ধসে পড়ে তাহলে এই দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ অনাহারে মারা যাবে।"
তিনি বলেন, "ভেবে দেখুন একসময় সিন্ধু অববাহিকায় অনেক পানি ছিল। আমি মনে করি শেষ ১০০ বছরে এই পানির পরিমাণ ৯৯ শতাংশের মত হ্রাস পেয়েছে। বছরে ৮ মাস নদীতে পানি থাকে না। কারণ সিন্ধু সাগরে পৌঁছাতে পারছে না। যদি পানি না থাকে তাহলে জীবনও থাকবে না।"
কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তনে ডলফিনের ওপর প্রভাব ফেলেছে?
গবেষণা থেকে দেখা যায় জলবায়ু পরিবর্তন বাস্তুসংস্থানের বড় পরিবর্তন ঘটানোর পাশাপাশি নদীর ডলফিনের উপর নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলে।
উচ্চ তাপমাত্রা, গলিত হিমবাহ এবং বর্ধিত বৃষ্টিপাত সবই নদীর স্তর এবং ডলফিনের পরিবেশকে প্রভাবিত করে। ডলফিন গত শতাব্দীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। কিন্তু তাদের ভৌগোলিক পরিসরে বেঁচে থাকা, বিকাশের জন্য খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং সিন্ধু নদীর ১৯০ কিলোমিটারের (ব্যারেজের মধ্যে দূরত্ব) মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পরেছে।
ভুট্টো বলেন, "জলবায়ু পরিবর্তন তাদের সংখ্যা কমার জন্য পুরোপুরি দায়ী নয় তবে এটি ভবিষ্যতে তাদের অস্তিত্বের ক্ষতি করতে পারে।"
'গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্সে' পাকিস্তান জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য পঞ্চম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে স্থান পেয়েছে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটির তাপমাত্রা ৪ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশের মত বাড়বে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
ভুট্টো বলেন, "যদি খরা দেখা দেয় তাহলে শুক্কুর ব্যারেজ থেকে গুড্ডু ব্যারেজের মধ্যবর্তী ১০০ কিলোমিটার এলাকার ৭০ শতাংশ ডলফিন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদিও বন্যার কারণে অনেক বেশী পানি নদীতে চলে আসে, ডলফিনগুলো পানি সরে যাওয়ার পর শুকনা স্থানে আটকা পরতে পারে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে রেকর্ড পরিমাণ গরম পড়েছিল। সেই মাসেই ব্রাজিলের তেফে লেকের ১২৫ থেকে ২০০ ডলফিন মারা গিয়েছিল পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যাওয়ায়।
ভুট্টো বলেন, "মনে রাখবেন ব্রাজিলে আমাজন অববাহিকা রয়েছে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম অববাহিকা। এর হাজার হাজার স্রোত রয়েছে তাই এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে ডলফিন গরম থেকে বাঁচতে যেতে পারে। পাকিস্তানে এটি কেবল একক নদী ব্যবস্থা।"
ডলফিনের বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?
ভুট্টো সতর্ক করেন যে, পাকিস্তানে নদীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে "এইখানের ডলফিনগুলোর একই পরিণতি হবে।"
একই ধরনের বিপদে থাকা অনেক প্রাণি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, চায়নার 'বাইজি' ডলফিন যেগুলো ইয়াংজি নদীতে সাঁতরে বেড়াতো সেগুলোকে ২০০৭ সালে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় কারণ নদীতে নৌকার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি শব্দ ও পানি দূষণ বেড়ে গিয়েছিল।
ব্যারেজ এবং শিকারের কারণে পাকিস্তান থেকে ঘড়িয়াল (এক জাতের কুমির) বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ২০২৩ সালে একবার দেখা যাওয়ার আগে এই প্রাণিকে শেষবার দেখা গিয়েছিল ১৯৮৫ সালে।
কীভাবে এদের টিকে থাকা নিশ্চিত করা সম্ভব?
ভুট্টো বলেন, "ডলফিন সহ অন্যান্য বন্য প্রাণিদের বাঁচানোর জন্য নদীর উপরে স্থাপনা নির্মাণ করা বন্ধ করতে হবে। আমাদের আর কোন বাঁধের দরকার নেই। এগুলো জলবায়ু পরিবর্তনকে আরও ত্বরান্বিত করবে।"
ভুট্টো বলেন, "সরকার আরও বাধ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে কারণ এগুলোকে পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদার দ্রুত সমাধান হিসেবে দেখা হচ্ছে। কিন্তু এটি ডলফিনদের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলবে।"
তিনি যুক্তি দিয়েছেন, পাকিস্তানের মানুষ এই বিপদ সম্পর্কে জানে না। কারণ, তাদের শেখানো হয় বাধ ছাড়া নদীর পানির কোন মূল্য নেই। তাদেরকে বলা হয় না এটি শক্তির একটি জীবন্ত উৎস এবং একে সংরক্ষণ করা দরকার।
প্রাচীন এই সিন্ধু নদী সর্বদা স্থানীয় মানুষদের সাহায্য করেছে। ভুট্টো বিশ্বাস করেন যে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উদ্বেগ ও পরামর্শ শোনার পাশাপাশি জেলে সম্প্রদায়ের কথা শোনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ভুট্টো বলেন, "আমি চাই না খোয়াজ খিজিরের গল্পের মত বুলহানের গল্প মানুষের মুখে পৌরাণিক কাহিনি হয়ে যাক।"