নাশকতা এড়াতে ট্রেন সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আসছে: রেলওয়ে পুলিশ
নাশকতা এড়াতে রেলকে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা গণমাধ্যমকে বলেন, ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে আন্তঃনগর ট্রেন এবং পরবর্তী সময়ে বাকি ট্রেনগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।
ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ও হাওর এক্সপ্রেস নামে দুটি ট্রেনে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, 'পর্যায়ক্রমে বাকি ট্রেনগুলোতে সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। যেসব স্টেশনে আগে থেকে সিসি ক্যামেরা নেই, সেখানেও লাগানো হচ্ছে। বিশেষ করে, ঢাকার রেলওয়ে স্টেশনগুলো পুরোপুরি সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে।'
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহিদুল ইসলাম বলেন, '১০ জানুয়ারি থেকে ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশিতা, মহানগর প্রভাতী ও সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো শেষ হয়েছে। প্রতিটি ট্রেনে ১২টি করে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ট্রেনগুলোকেও ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।'
চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, 'হরতাল-অবরোধে সরকারি বাহন ট্রেনকে ঘিরে নাশকতার ঘটনা ঘটছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের জানমালেরও ক্ষতি হচ্ছে। নাশকতা এড়াতে রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ চলছে। প্রথমে কয়েকটি ট্রেনে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ট্রেন এর আওতায় আনা হবে। সিসি ক্যামেরা থাকলে নাশকতার পাশাপাশি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপও রোধ করা যাবে।'
তিনি আরও বলেন, 'প্রথম পর্যায়ে সিসিটিভি মনিটরিং করা হবে রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে।'
রেলওয়ে পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি ট্রেনের সামনে-পেছনে ও গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানে থাকছে সিসি ক্যামেরা। প্রথমে যাত্রীদের কাছে যেসব ট্রেনের চাহিদা বেশি, সেসব আন্তঃনগর ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। সে অনুযায়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটই প্রাধান্য পাচ্ছে প্রাথমিক অবস্থায়।