রাষ্ট্রীয় তথ্য ফাঁসের মামলায় ইমরান খানের ১০ বছরের কারাদণ্ড
রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের দায়ে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনে করা কূটনৈতিক তারবার্তা (সাইফার) ফাঁসের মামলায় তাদের দুইজনকে কারাদণ্ড দেন আদালত।
ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) দাবি, যে মামলার ভিত্তিতে পাকিস্তানের সাবেক প্রধামন্ত্রীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, সেটার কোনো ভিত্তি নেই।
এ মামলার অভিযোগে ছিল, ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের পাঠানো একটি গোপন তারবার্তা প্রকাশ্যে ফাঁস করে দিয়েছেন ইমরান খান।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহ আগে ইমরানের সাজার এই রায় দিলেন আদালত।
ইমরানের দল পিটিআই এবার নিজেদের প্রতীক ছাড়াই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছর রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ইমরান ও কুরেশির বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, ওই গোপন কূটনৈতিক তারবার্তাটি ইমরান খানের হাতে তুলে দেন সাবেক মুখ্য সচিব আজম খান। পরে তারবার্তাটি কোথায় রেখেছেন, ভুলে গেছেন বলে তাকে ইমরান খান জানান এবং বারবার অনুরোধের পরও সেটা আর ফেরত দেননি।
ইমরান এখন আদিয়ালা কারাগারে রয়েছেন। সেখানেই বিশেষ আদালত বসিয়ে গোপন তথ্য ফাঁস মামলার কার্যক্রম চলছিল।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ এই রায়ের মাধ্যমে দ্বিতীয়বার দণ্ডিত হলেন ইমরান খান। এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন তিনি। যদিও ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) পরে ইমরানের সেই সাজা স্থগিত করে।
তবে পরে একটি ডিভিশন বেঞ্চ দোষী সাব্যস্ত করার বিরুদ্ধে ইমরানের আবেদন খারিজ করে দেন।