বেইলি রোডের আগুনে সাংবাদিক নিহত, এখনও জানেন না মা
রাজধানীর বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে নিহত হয়েছেন সাংবাদিক তুষার হাওলাদার (২৪)। সেই খবর এখনও জানেন না মা অঞ্জনা হাওলাদার। বাবা দীনেশ চন্দ্র হাওলাদার ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায়।
আজ সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কথা হলে এমনটাই জানান দীনেশ চন্দ্র হাওলাদার। তাদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির কাঠালিয়া গ্রামে। সেখানে তুষারের মা ও বোন থাকেন। তাদের কেউই এখনও তুষারের মৃত্যুর খবর জানেন না।
দীনেশ চন্দ্র হাওলাদার বলেন, 'আমার স্ত্রী অসুস্থ। তাই তাকে জানাই নাই।'
তিনি আরও বলেন, 'তুষারের মা তুষারকে ফোনে না পেয়ে আমাকে খোঁজ নিতে বলে। আমি তাকে জানিয়েছি তুষার অফিসে আছে, কাজে ব্যস্ত আছে।'
তুষারের চাচা সুমন হাওলাদার জানান, তুষার ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করে দ্য রিপোর্ট ডট লাইভে কর্মরত ছিলেন। তবে তুষারের কয়েকজন বন্ধু জানান, তিনি গত ফেব্রুয়ারি মাসে স্টারটেক নামে একটি অনলাইন মাল্টিমিডিয়ায় যোগ দিয়েছিলেন।
দীনেশ চন্দ্র হাওলাদার রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চাকরি করেন। কাজ শেষে প্রতিদিনই ছেলে আর তিনি একইসঙ্গে বাসায় ফিরতেন। তারা রাজধানীর গোড়ান এলাকায় থাকেন। কাজের ব্যস্ততা ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কারণে গতকাল অফিসেই ছিলেন তুষার।
রাত ৮টায় তুষারের সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছিল জানিয়ে দীনেশ চন্দ্র বলেন, 'আমার সঙ্গেই ও প্রতিদিন বাসায় ফেরে। কাল জানাল বাসায় ফিরতে দেরি হবে।'
তিনি জানান, রাত ১১টার পর বাসার গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তুষারের ফিরতে দেরি হবে, সেজন্য বাড়ির মালিকের কাছ থেকে চাবি নিয়ে রাখেন বাবা দীনেশ। ১১টা পর্যন্ত জেগেও ছিলেন ছেলের জন্য। এর পর বেশ কয়েকবার ফোনও করেন।
তিনি বলেন, সকাল পৌনে ৭টার দিকে ফোন দিয়েছি। কিন্তু কেউ ধরেনি। পরে ওসি ফোন দিয়ে বলে- 'আপনি কি তুষারের বাবা?' জবাব দিতেই তিনি আমাকে তাড়াতাড়ি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে যেতে বলেন।'