২০২৫ সালে বাংলাদেশে ৫জি নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারী দাঁড়াবে মাত্র ৬ শতাংশ
২০২৫ সালে বাংলাদেশের মোট মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীর মাত্র ৬ শতাংশ পঞ্চম প্রজন্মের (৫জি) ইন্টারনেট সেবা নেওয়ার সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছে বৈশ্বিক মোবাইল কমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রি জিএসএম অ্যাসোসিয়েশন (জিএসএমএ)।
সে বছর বাংলাদেশের দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের মোট গ্রাহকদের যথাক্রমে ৭ ও ৬ শতাংশ ৫জি'র সেবা পাবেন।
দেশে ২০২১ সালে ৫জি চালুর পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই ঘোষণা করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটি আরসি) জানিয়েছে, ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব জেলায় এই নেটওয়ার্ক পৌঁছে যাবে।
জিএসএমএ অবশ্য বলছে, বাংলাদেশে এখনো ৪জি নেটওয়ার্ক ঠিকমতো গড়ে ওঠেনি।
সোমবার প্রকাশিত জিএসএমএ মোবাইল ইকোনোমি সিরিজের সর্বশেষ এশিয়া প্যাসিফিক সংস্করণে দেখা যায়, বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলো এখনো ৪জি নেটওয়ার্কের বিকাশ ঠিকমতো ঘটাতে পারেনি, সেখানে ৫জি'র সুযোগ নেওয়াটা বেশ দূরেরই ব্যাপার!
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ৪জি যুগে প্রবেশ করলেও ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই উচ্চ গতিশীল নেটওয়ার্কের সুবিধা পেয়েছে মাত্র ১০ শতাংশ গ্রাহক।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৫ সালে দেশের অর্ধেকেরও (৪৬ শতাংশ) গ্রাহক ৪জি'র সেবার আওতায় আসবে।
ফলে, ৪জি নেটওয়ার্ক বিস্তারের ঘাটতি দেশে ৫জি'র সুযোগ বৃদ্ধির পথে বাধা হয়ে ওঠতে পারে বলে প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়।
২০১৯ সালে দেশে মাত্র ৪০ শতাংশ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর কাছে স্মার্টফোন ছিল; ২০২৫ সালে সেটি বেড়ে ৬৯ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। অবশ্য সেই তুলনায় ভারত ও পাকিস্তানে তা দাঁড়াবে যথাক্রমে ৮৪ ও ৭০ শতাংশে।
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি ২০২০ সালে ৫জি সংযোগসংখ্যা পূর্ব ধারণার চেয়ে ২০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
অবশ্য এ অঞ্চলের মোবাইল অপারেটরেরা- যেগুলো কি না কোনো কোনো জায়গায় দ্রুত বর্ধনশীল এবং বৈশ্বিক গ্রাহকদের মোট সংখ্যার অর্ধেক- ২০২০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে তাদের নেটওয়ার্কের পেছনে ৪১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এর মধ্যে ৮০ শতাংশ অর্থ ব্যয় করা হবে ৫জি নেটওয়ার্কের উন্নয়নে, বলেছে জিএসএমএ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ অঞ্চলের প্রায় ৬৬৩ মিলিয়ন লোক ২০২৫ সালে প্রথমবারের মতো মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করবে। অবশ্য বাংলাদেশে সেই সংখ্যা হবে মাত্র ২৫ মিলিয়ন, যা কি না ভারত (১৯০ মিলিয়ন) ও পাকিস্তানের (৪৬ মিলিয়ন) তুলনায় অনেক কম।
২০২৫ সাল পর্যন্ত মোট মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ২ দশমিক ৭ বিলিয়নে।