তারে জামিন পারের ঈশান কেন নতুন কাজের জন্য আর আমির খানের কাছে আসেন না
২০০৭ সালের ২১ ডিসেম্বর মুক্তি পায় আমির খান অভিনীত চলচ্চিত্র 'তারে জামিন পার'। মুক্তির ১৬ বছর পরেও এখনও দর্শক-হৃদয়ে স্থান করে আছে ছবিটি।
ইউটিউবের বলিউডের পডকাস্ট কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার করা ছবির বিভিন্ন ক্লিপ, তারে জামিন পারের নাম এখনও সবার মধ্যে বার বার আলোচনায় ওঠে আসে।
ছবিতে একজন স্কুলের পড়ুয়া ছেলের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান ছোট্ট দার্শিল। পর্দায় তার চরিত্রের নাম ছিল 'ঈশান অবস্থি'। তার বাবা ও মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন টিসকা চোপড়া এবং বিপিন শর্মা এবং 'রাম শঙ্কর নিকুম্ভ' নামে একজন ছবি আঁকার শিক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করেন আমির খান।
দারুণ পারফরম্যান্সের জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে মনোনয়নও পান দার্শিল। তবে নিজের প্রথম ছবির এত সাফল্যের পরও কেন দার্শিল বলিউডে জায়গা করে নিতেন পারেননি এই প্রশ্ন এখনও সবার মনে ঘুরপাক খায়। তার উত্তর দিয়েছেন দার্শিল নিজেই।
সম্প্রতি সিদ্ধার্থ কান্নানের সাথে এক সাক্ষাৎকারে, দার্শিল সাফারি তারে জামিন পার পরবর্তী জীবন এবং কেন তিনি তার সহ-অভিনেতা আমির খানের কাছে কখনও কাজের সুযোগ খোঁজেননি সে সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলেছেন।
দার্শিল জানান, তারে জামিন পারের পর তার কাছে কোনো ভালো ছবির স্ক্রিপ্ট ছিল না, কিন্তু তিনি এর পরেও আমির খানের কাছে স্ক্রিপ্টের জন্য ধরনা দেননি।
দার্শিল জানান, তাকে অনেকেই ভালো কাজের সুযোগের জন্য আমিরের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন, তবে লাজুক স্বভাবের হওয়ায় তিনি সবসময়ই তা এড়িয়ে গেছেন। তার কাছে কারও সাহায্য নিয়ে সফলতা পাওয়ার থেকে নিজের যোগ্যতা ও পরিশ্রমে পাওয়া সফলতা বেশি মূল্যবান।
দার্শিল বলেন, 'আমি খুব লাজুক। এসব নিয়ে আমি ইতস্তত বোধ করতাম। আমি আপনাকে বলতে পারব না যে আমাকে কতবার বলা হয়েছে, আমিরের সাথে তোমার যোগাযোগ আছে, চাচ্চু? তাকে একটি টেক্সট দাও, তাকে কল দাও, এটা এবং ওটা। কিন্তু আমার এটা করতে লজ্জা লাগত। আমি জানি না কীভাবে এটি ভাষায় প্রকাশ করব। এগুলো সব সময় স্বতঃস্ফূর্ত ও স্বাভাবিকভাবে হওয়া উচিত।'
সাক্ষাৎকারে দার্শিল বলেন নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতার উপর ভিত্তি করেই কাজের সুযোগ পাওয়া উচিত।
দার্শিল জোর দিয়ে বলেন, পেশাগত কাজে তিনি কখনো কারও কোনো সাহায্য নেননি। যদিও আমির খান সবসময় তার কাজের খোঁজখবর রাখতেন এবং শুভকামনা জানাতেন।
দার্শিল বলেন, আমি কখনই 'তুম্পে কিসি কা হাত হ্যায়' (তোমার সফলতার পিছনে কার হাত) এই ব্যাপারটি বুঝতে পারিনি এবং চেষ্টাও করিনি। এমনকি, 'তারে জামিন পার'-এর পর আমি আমিরকে আমার হাতে নেওয়া প্রায় প্রতিটি প্রজেক্টের কথা জানিয়েছিলাম, স্রেফ তাঁর আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য। দার্শিল মনে করেন কারও অনুগ্রহের ওপর নির্ভর করার চেয়ে নিজের কাজের ওপর বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।
এ বছরের ৪ মার্চ দার্শিল আমিরের সাথে বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেন ইন্সটাগ্রামে। জানা গেছে নতুন একটি প্রজেক্টে দুজন আবার একসাথে কাজ করছেন। সাদা দাড়ি ও চুলে আমিরের নতুন লুক দর্শকদের মধ্যে ইতোমধ্যে নেটিজেনদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি তৈরি করেছিল।
পরে জানা গেছে একটি নতুন বিজ্ঞাপনে আবারও একসঙ্গে কাজ করছেন তারা। তবে এবার আর ছাত্র শিক্ষক নয়, দার্শিল ও আমির এবার নাতি-দাদুর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
বুধবার (৬ মার্চ) প্রকাশ্যে এসেছে তাদের নতুন বিজ্ঞাপন। সেখানেই দার্শিলের দাদুর চরিত্রে দেখা গেল আমির খানকে। এই নতুন বিজ্ঞাপন নিজের প্রোফাইলে শেয়ার করেন দার্শিল।
অনুবাদ: সাকাব নাহিয়ান শ্রাবন