মিয়ানমারে সংঘাত: ভারী গোলাবর্ষণের শব্দে আবার কাঁপল টেকনাফ সীমান্ত
বেশ কয়েকদিন শান্ত থাকার পর রোববার (১৭ মার্চ) সকাল থেকে টেকনাফের সুবরাং ইউনিয়ন ও হ্নীলা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় আবারও মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে গোলাগুলির আওয়াজ ভেসে এসেছে।
জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়রা জানান, হ্নীলার চৌধুরী পাড়া ও সুবরাংয়ের শাহ পরীর দ্বীপের সীমান্তবর্তী এলাকায় অন্তত ২০ থেকে ৩০টি মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ ও বিচ্ছিন্নভাবে গোলাগুলির আওয়াজ শোনা গেছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের কাছে নাকপুরা, ধনখালী, হাসুরাতা, নাইক্ষংদিয়া, গর্জনদিয়া এবং সংক্ষদাবিল এলাকায় সংঘর্ষ চলছে বলে জানিয়েছেন তারা।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, 'মায়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমারের রাখাইনে সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে। উভয় পক্ষে গুলি, মর্টার শেল ও গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে।'
রোববার রাতে হঠাৎ একসঙ্গে প্রায় ২০টি মর্টার শেলের বিস্ফোরণের শব্দে সীমান্তের লোকজন একটু আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বলে জানান এ জনপ্রতিনিধি।
টেকনাফ পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান জানান, রাতে বিকট মর্টার শেল বিস্ফোরণে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া, চৌধুরীপাড়া, কুলালপাড়া, ডেইলপাড়া, হাঙ্গারডেইলসহ অন্তত ১৩টি গ্রাম কেঁপে ওঠে।
শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটের টোল আদায়কারী মোহাম্মদ ছিদ্দিক বলেন, সোমবার (১৮ মার্চ) ভোরে সেহরির সময় নাফ নদীর ওপারে তিনি মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে বেশ কয়েকটি গুলি এবং ভারী গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন।
'মাঝেমধ্যে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এতে নাফ নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা আতঙ্কে রয়েছেন,' বলেন তিনি।
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)-এর টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি বিজিবি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিশেষ করে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।