মোবাইলে ব্যাংকিংয়ে লেনদেন বাড়লেও গ্রাহক একাউন্ট কমেছে জানুয়ারিতে
গত জানুয়ারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এক লাখ ২৯ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। যা এক মাস আগের (ডিসেম্বর) তুলনায় ৪ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা বা ৩.৯৩ শতাংশ বেশি।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মুঠোফোনের আর্থিক পরিষেবা (এমএফএস) এর মাধ্যমে এক লাখ ২৪ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, লেনদেন বাড়লেও মোট এমএফএস একাউন্ট কমেছে।
২২ কোটি ৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪৪৮টি থেকে একাউন্টের সংখ্যা জানুয়ারিতে ২১ কোটি ৯১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৩৫টিতে নেমে এসেছে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে এমএফএস সেবাদাতাদের গ্রাহক একাউন্ট কমেছে ১২ লাখ ৮৩ হাজার ৬১৩টি।
ব্যাংকাররা বলছেন, নিয়ম অনুযায়ী টানা তিন মাস একবারও লেনদেন করেনি এমন একাউন্টকে নিষ্ক্রিয় বলে গণ্য করা হয়। তাছাড়া আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সতর্ক। অনলাইনে সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত হলেই তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঈদকে কেন্দ্র করে তাদের তদারকি বৃদ্ধির কারণেও একাউন্ট সংখ্যা কমতে পারে।
২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে- বিকাশ। বর্তমানে বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ বিভিন্ন নামে ১৩টির মতো ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এমএফএস সেবা দিচ্ছে।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শুধু লেনদেন নয়, যুক্ত হচ্ছে অনেক নতুন নতুন সেবাও। যেমন বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ ইউটিলিটি সেবা মূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অর্থাৎ রেমিট্যান্স প্রেরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া ব্যাংক থেকে মোবাইলে ও মোবাইল থেকে ব্যাংকেও লেনদেন করার সুবিধা পাচ্ছেন গ্রাহক। এসব কারণে এমএফএস সেবার জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে।