ঈদের আগেই নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে আশাবাদী এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ
জলদস্যুদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের পর গত সপ্তাহ থেকেই অপহরণ করা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এবং এর জিম্মি নাগরিকদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে জাহাজের মালিকপক্ষ। জাহাজটির মালিক চট্টগ্রাম-ভিত্তিক কবির গ্রুপ (কেএসআরএম) এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং। মালিকপক্ষ আশা করছে, সোমালি দস্যুদের হাতে জিম্মি ২৩ নাবিককে ঈদের আগেই মুক্ত করা সম্ভব হবে।
কেএসআরএম গ্রুপের মুখপাত্র এবং মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, সোমালি জলদস্যুদের সাথে এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তাদের আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হচ্ছে।
"এটা অনানুষ্ঠানিক একটা যোগাযোগ হলেও, জলদস্যুরা তাতে ভালোভাবে সাড়া দিয়েছে। আমাদের নাবিকদের তাঁরা নিজ নিজ কেবিনে থাকতে দিচ্ছে, জাহাতের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজে অংশ নিতে দিচ্ছে, এমনকি পরিবারের সদস্যদের সাথেও যোগাযোগ করতে দিচ্ছে। এসব খুবই ইতিবাচক লক্ষণ। মোট কথা, আলোচনা চলাকালীন জলদস্যুরা আমাদের নাবিকদের সাথে ভালো আচরণই করছে"- যোগ করেন মিজানুল।
"(মুক্তিপণের জন্য) দস্যুরা যোগাযোগ করবে– এটা অনুমান করে আমরা আগে থেকেই সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। এরপর তাঁদের ফোনকল পাওয়ার পরে, এটা যে দস্যুদের থেকেই এসেছে– সেবিষয়ে নিশ্চিত হয়ে আমরা আলোচনা শুরু করেছি।" তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে তাঁরা এই সংকটের সমাধান করে নাবিকদের দেশে ফিরে আসা নিশ্চিত করতে চান বলে জানান এই কর্মকর্তা।
"আমরা আশা করছি, ঈদের আগেই সুস্থ অবস্থায় নাবিকদের উদ্ধার করা যাবে"- বলেন তিনি।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ক্যাপ্টেন শাখাওয়াত হোসেন, এমভি আব্দুল্লাহর সকল নাবিক সুস্থ ও নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, "এই ধরনের আলোচনা প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসময় লাগলেও– মালিকপক্ষের জোর প্রচেষ্টার থাকলে অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁদের উদ্ধার করাও সম্ভব।"
এর আগে গত ২২ মার্চ বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অপহরণ করা জাহাজ নিয়ে দস্যুরা আন্তর্জাতিক নৌশক্তি ও সোমালি পুলিশের চাপের মুখে রয়েছে।
সোমালিয়ার নুগাল অঞ্চলের পুলিশ কমান্ডার মোহাম্মদ আলী আহমেদ বিবিসিকে বলেন, জাহাজটি রয়েছে জিফল এলাকার উপকূলে। ডাঙ্গা থেকে জলদস্যুদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান চলছে, যাতে তাঁরা বাইরের কারো সাহায্য না পায়। এসময় সাগরে বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীর উপস্থিতির কথা উল্লেখ করেন, যারা অপহৃত জাহাজের ওপর নজর রাখছে।
এতে দুই দিক দিয়েই চাপের মধ্যে রয়েছে জলদস্যুরা।