মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পরিবারের ৫ সদস্যের পর চলে গেল শিশু সোনিয়াও
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বসত ঘরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে হারানো ছয় বছরের শিশু সোনিয়া সুলতানা মারা গেছে। বুধবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সোনিয়া মারা যায়। তার আগে এই দুর্ঘটনায় তার পরিবারের পাঁচ সদস্য মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি গ্রামে রহমত আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন- ফয়জুর রহমান, তার স্ত্রী শিরি বেগম, মেয়ে সামিয়া বেগম, আরেক মেয়ে সাবিনা বেগম এবং ছেলে সায়েম মিয়া। এদের মধ্যে মেয়ে সামিয়া বেগম নবম শ্রেণির এবং সাবিনা বেগম সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
এদিকে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচ জনের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী।
বাকি সদস্যরা হলেন- মো. ফজলুর রহমান, পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী ও দীপংকর ঘোষ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল)।
তদন্ত কমিটি সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ২টা থেকে ওই এলাকায় প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। সেসময় বিদ্যুৎ ছিল না। পেশায় ঠেলাচালক ফয়জুর রহমানের বসত ঘরের ছাউনির টিনের উপর হাই ভোল্টের পল্লি বিদ্যুতের একটি তার ছিড়ে পড়েছিল। রাত সাড়ে ৪টার দিকে বিদ্যুৎ আসলে তাদের ঘরে শর্টসার্কিটে সবাই বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যায়। পরে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বাড়ির পাঁচ সদস্যের লাশ উদ্ধার করে।
জুড়ি উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি সড়কের এক পাশে টিনের চালা ও বেড়ার তৈরি ঘরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থাকতেন ঠেলাচালক ফয়জুর রহমান। তার ঘরের উপর দিয়ে পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন টানানো। নিজের জমি না থাকায় রহমত আলী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তির পতিত জমিতে বাস করেছিলেন ফয়জুর।