বইয়ের মলাটে থাকা মানব চামড়া সরিয়ে নিল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
১৯ শতকের একটি বইয়ের মলাট বাঁধাই করা হয়েছে মানুষের চামড়া দিয়ে। বইটি রয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে। সম্প্রতি এ বইয়ের মানবত্বকের মলাট সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসি'র।
১৯৩০-এর দশক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাফটন লাইব্রেরিতে রয়েছে দে দেসতিনে দো লামো (ডেসটিসিজ অব দ্য সোল) শীর্ষক বইটি।
২০১৪ সালে বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, বইটি আদতেই মানুষের চামড়া দিয়ে বাঁধা হয়েছিল।
সম্প্রতি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা দিয়েছে, বইয়ের উৎপত্তি ও পরবর্তী ইতিহাসের নৈতিকভাবে বিতর্কিত প্রকৃতির কারণে তারা ওই মলাট খুলে নিয়েছে।
১৮৮০-এর দশকে আর্সিন হুসে আত্মা ও মৃত্যুপরবর্তী জীবন নিয়ে মেডিটেশন বিষয়ক বই দে দেসতিনে দো লামো লেখেন।
জানা যায়, বইটি লিখে তিনি তার ডাক্তার বন্ধু লুডোভিক বুলান্ডকে দিয়েছিলেন। কথিত আছে, ডা. বুলান্ড স্বাভাবিক মৃত্যু হওয়া এক নারী রোগীর পিঠের চামড়া দিয়ে বইটি বাঁধাই করেন।
ওই নারীর মৃত্যুর পর তার লাশ নিতে কেউ আসেননি।
অনেক বিবেচনা, অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বই থেকে খুলে নেওয়া মানব দেহাবশেষটির সম্মানজনক কোনো ব্যবস্থা করতে চায় বলেও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
এছাড়া অজ্ঞাতকুলশীল ওই নারীর জীবন নিয়েও গবেষণা করছে হাফটন লাইব্রেরি।
১৯৩৪ সালে হার্ভার্ডে আনা হয় দে দেসতিনে দো লামো। বইয়ের সঙ্গে ছিল ডা. বুলান্ডের একটি চিরকুট।
'মানব আত্মা নিয়ে লেখা একটি বইয়ে মানব মলাট থাকাটাই উপযুক্ত,' লেখেন তিনি।