অবশেষে গ্রেপ্তার রিজেন্ট সাহেদ
মহামারীর মধ্যে চিকিৎসার নামে প্রতারণা আর জালিয়াতির মামলায় এক সপ্তাহ ধরে পলাতক রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে।
র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক সারওয়ার বিন কাশেম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "বুধবার ভোরে তাকে সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"
এর আগে প্রতারণার এই মামলায় আরও দশজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাহেদের আগে সবশেষ গ্রেপ্তার হন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজ।
সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার সাকড় বাজারের পাশে অবস্থিত লবঙ্গপতি এলাকা থেকে র্যাব বিশেষ অভিযান চালিয়ে সাহেদকে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে বলে জানায়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ বলেন, "প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাসের জন্য তাকে ঢাকায় র্যাবের প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।"
কোভিড-১৯ এর পরীক্ষার নামে ভূয়া প্রতিবেদন প্রদান ও বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে গত ৭ জুলাই র্যাব অভিযান চালিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের প্রধান কার্যালয় এবং উত্তরা ও মিরপুরে তাদের দুটি শাখা বন্ধ করে দেয়।
র্যাবের তথ্য অনুযায়ী, মহামারি শুরুর পর থেকে রিজেন্ট হাসপাতাল অন্তত ২০ হাজার মানুষের কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা করেছে যার মধ্যে ৪ হাজার ২০০টি ছাড়া বাকী সবগুলোর ক্ষেত্রেই টেস্ট না করেই ভূয়া ফলাফল দেওয়া হয়।
বিনামূল্যে করোনার পরীক্ষা ও চিকিৎসার বিষয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চুক্তি হলেও তারা শুরু রোগীদের কাছ থেকেই টাকা নিতো না পাশাপাশি প্রত্যেক রোগীর চিকিৎসার বিপরীতে মন্ত্রণালয়কে বিল ধরিয়ে দিতো।
প্রতারণা আর সরকারের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগে সাহেদ সহ রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের ১৬ জনকে আসামী করে ৭ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করে র্যাব। তখন থেকেই আত্মগোপনে যান মামলার প্রধান আসামী সাহেদ।