ঈদের তৃতীয় দিন: কক্সবাজার সৈকতে ২ লাখেরও বেশি পর্যটকের ভিড়
ঈদের ছুটিতে তীব্র গরমের মধ্যেও কক্সবাজার সৈকতে বাঁধ ভাঙা আনন্দ-উল্লাসে মেতেছেন পর্যটকরা। ঈদের ছুটির তৃতীয় দিন সৈকতে পর্যটকদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। এদিন সৈকতে দুই লাখেরও বেশি পর্যটকের সমাগম হয়।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আজ শনিবার (১৩ এপ্রিল) সাগরতীরে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। তীব্র গরম সত্ত্বেও ভ্রমণে আসা পর্যটকরা সাগরে বাঁধ ভাঙা আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন।
ঢাকার মিরপুর থেকে আসা পর্যটক জাওয়াদ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'তীব্র গরমও হার মানাতে পারছে না। কারণ ঈদ উপভোগ করতে এসেছি। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খুব ভালোভাবে আনন্দ উদযাপন করছি। সবাই আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।'
আরেক পর্যটক ছোঁয়া বলেন, 'ঈদ উদযাপন করতে এবারই প্রথমবারের মতো কক্সবাজার সৈকতে আসা। ঈদে তো সাধারণত আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় যাওয়া হয়। কিন্তু এবার পরিবারের সঙ্গে সমুদ্রে প্রথমবারের মতো ঈদ উদযাপন করছি। খুবই আনন্দ হচ্ছে।'
ঘোড়ার পিঠে উঠে চড়েছিলেন সাতক্ষীরা থেকে আসা হাবিব ও তার সন্তান নুর। হাবিব বলেন, 'ঘোড়ার পিঠে উঠে মনে হচ্ছে ছোটবেলায় ফিরে গেছি। একটু ভয় লাগছে আবার ভালোও লাগছে।'
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মো. মাসুদ রানা বলেন, 'ঈদ পরবর্তী ১০ দিনের যে ছুটি, সেই ছুটিতে ভ্রাম্যমাণ টিম মাঠে রয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশও কাজ করছে। প্রতিটি হোটেলেই জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ মোবাইল টিমের নাম্বার দেওয়া হয়েছে, যাতে পর্যটকরা অভিযোগ থাকলে জানাতে পারেন। এখন পর্যন্ত পর্যটকদের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।'
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবারেই কক্সবাজারের প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ হোটেল বুকিং হয়ে যায়।
এ বিষয়ে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাসেম সিকদার বলেন, 'ছুটির দিনে আশানুরূপ পর্যটকদের সমাগম হওয়ায় ব্যবসায়ীরা খুশি।'