আড়াই মাসে টিআইএনধারী বেড়েছে ২ লাখ
দেশে কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) সংখ্যা গত ৮ ফেব্রুয়ারি ১ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করে। পরবর্তী আড়াই মাসে আরো দুই লাখ টিআইএনধারী যুক্ত হয়েছেন। এনবিআরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) পর্যন্ত টিআইএনধারী ১ কোটি ২ লাখের সামান্য বেশি।
এই সময়ে নতুন দুই লাখ টিআইএন যুক্ত হওয়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন এনবিআরের কর্মকর্তারা। মূলত মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলো মনিটরিং জোরদার করায় নতুন করে টিআইএন নেওয়ার হার বেড়েছে বলে মনে করছেন তারা।
এনবিআর সদস্য একেএম বদিউল আলম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "বর্তমানে দেশে টিআইএন-হোল্ডার ১ কোটি ২ লাখের সামান্য বেশি।"
এনবিআরের ট্যাক্স উইংয়ের অপর একজন কর্মকর্তাও জানান, বর্তমানে টিআইএনধারী এক কোটি দুই লাখ অতিক্রম করেছে।
তিনি বলেন, "গত ৮ ফেব্রুয়ারি টিআইএন-হোল্ডার ১ কোটি অতিক্রম করে। এরপর আড়াই মাসেরও কম সময়ে নতুন করে দুই লাখ মানুষ টিআইএন নেওয়া ইতিবাচক।"
অবশ্য টিআইএন বাড়লেও দেশে কর রিটার্ন সে হারে বাড়ছে না। সামান্য কিছু ব্যতিক্রম বাদে প্রায় সব টিআইএনধারীকে রিটার্ন জমা দিতে হয়। অথচ এনবিআরের হিসাব বলছে, সর্বশেষ বছরে রিটার্ন জমা হয়েছে প্রায় ৩৭ লাখ।
যদিও গত মার্চে এনবিআরের এক সভায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রাহমাতুল মুনিম বলেন, "১০ বছরের ব্যবধানে রিটার্ন জমা চারগুণ বেড়েছে।"
মূলত পিএসআর বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ের অফিসগুলোর মনিটরিং বাড়ার ফলে টিআইএন এর পাশাপাশি রিটার্ন জমার হারও বাড়ছে বলে জানায় এনবিআর সূত্র।