গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার দুই দিন পরও শিডিউল বিপর্যয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি
গাজীপুরের জয়দেবপুর জংশনে দুটো ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের প্রায় ৩১ ঘণ্টা পরে লাইনচ্যুত বগিগুলোর উদ্ধার কাজ শেষ হওয়ার পরে রেল যোগাযোগ আবারো স্বাভাবিক হয়েছে। এদিকে উদ্ধারকাজ শেষ করতে দেরি হওয়ায় ট্রেনের শিডিউল বিঘ্নিত হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন অসংখ্য যাত্রী।
রংপুর এক্সপ্রেস সাড়ে এগারো ঘণ্টা দেরি করে রবিবার (৫ মে) রাত সাড়ে ৮টায় কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে। এছাড়া ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটিও পাঁচ ঘণ্টা দেরি করেছে।
কমলাপুর থেকে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি ট্রেনই রবিবার কয়েক ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে। যার ফলে তীব্র গরমের মধ্যেও স্টেশনে অপেক্ষারত যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী নুসরাত আক্তার বলেছেন, "বাচ্চারা গরমে অপেক্ষা করে ক্লান্ত হয়ে এখন মেঝেতে ঘুমাচ্ছে। দুপুরে ঠিকমতো খেতে পারিনি। অনেকক্ষণ এক জায়গায় বসে শরীর ব্যথা করছে।"
গতকাল দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে হতাশ হয়ে অনেকেই টিকিট ফেরত দিয়ে স্টেশন ছেড়েছেন।
শিডিউল স্বাভাবিক হতে আরো এক থেকে দুই দিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছিলেন কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সরওয়ার। তিনি জানিয়েছিলেন, "আমরা বিলম্ব কমানোর জন্য কাজ করছি। আশা করছি আগামীকাল (৬ মে) বড় শিডিউল বিলম্ব এড়ানো যাবে এবং মঙ্গলবার থেকে আর কোনো সময়সূচি বিঘ্নিত হবে না।"
শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১১টার দিকে জয়দেবপুর রেলস্টেশনের আউটার সিগন্যালের কাছে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে একটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন আহত হন। এ ঘটনায় টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি ও তেলবাহী ট্যাংকার ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
সংঘর্ষের ফলে ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলের মধ্যে চলাচলকারী সমস্ত ট্রেনের সময়সূচি ব্যাহত হয়েছিল যার ফলে শনিবার অন্তত আটটি ট্রেন বিলম্বিত হয়েছিল।