ডোজকয়েনের মুখ, ১৪ বছর ইন্টারনেট মাতানো বিখ্যাত কুকুর কাবোসু মারা গেছে
'ডোজ' মিমের সুপরিচিত মুখ কাবোসু মারা গেছে। ১৪ বছর ধরে ইন্টারনেট দুনিয়ায় খ্যাতি ধরে রেখেছিল এ কুকুর। কাবোসুর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন তার মালিক। খবর বিবিসি'র।
শিবা ইনু জাতের জাপানি এ কুকুরটি অনলাইন কৌতুকের পুরো একটি প্রজন্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। ডোজকয়েন নামক ক্রিপটোকারেন্সিতেও স্থান পায় এটির মুখ।
লিউকেমিয়া ও যকৃতের রোগে ভুগছিল স্ত্রী কুকুরটি। শুক্রবার (২৪ মে) মারা যায় কাবোসু।
'ওর গায়ে হাত বুলিয়ে আদর করছিলাম আমি। তখনই ও আমাকে ছেড়ে চলে যায়। মনে হচ্ছিল ও বুঝি ঘুমিয়ে পড়েছে,' কাবোসু'র ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে নিজের ব্লগে লেখেন আতসুকো সাতো।
'আমার মনে হয়, কাবোসোনা পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী কুকুর ছিল। আর আমি ছিলাম সবচেয়ে সুখী মালিক।'
কাবোসু ছিল একটি উদ্ধারকারী কুকুর। আসল জন্মদিন জানা যায়নি, তবে সাতোর অনুমান, মৃত্যুকালে কুকুরটির বয়স হয়েছিল ১৮ বছর।
কাবোসুকে সাতো পেয়েছিলেন একটি পাপি ফার্মে। টোকিওর বাসিন্দা, পেশায় শিক্ষক সাতো কুকুরটিকে পোষ্য হিসেবে না নিলে কর্তৃপক্ষ কুকুরটির জন্য ইউথেনেসিয়ার ['বেদনাহীন' মৃত্যু] ব্যবস্থা করত।
বাড়িতে নিয়ে আসার দুই বছর পর ২০১০ সালে কাবোসুর একটি ছবি তোলেন সাতো। সোফার ওপর দুই পা আড়াআড়ি রেখে বসে আছে কাবোসু, এমনটাই ছিল ছবির পটভূমি।
নিজের ব্লগে প্রিয় কুকুরের ছবি পোস্ট করেন তিনি। সেখান থেকেই সামাজিক যোগাযোগ ফোরাম রেডিটে পৌঁছে যায় ছবিটি। রেডিট ব্যবহারকারীরা সেটিকে মিমে পরিণত করেন। তারপর বাকিটা ইতিহাস।
ছবিটিকে পরে এনএফটিতে (নন-ফাঞ্জিবল টোকেন) পরিণত করা হয়। চার মিলিয়ন ডলারে সেটি বিক্রিও হয়। দুইজন সফটওয়্যার প্রকৌশলী কৌতুকের ছলে কাবোসুর ছবি বসিয়ে ক্রিপটোকারেন্সি ডোজকয়েন তৈরি করেন।
তবে সেটি এখন বিশ্বের অষ্টম সর্বোচ্চ দামি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে পরিণত হয়েছে। ডোজকয়েনের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ২৩ বিলিয়ন ডলারের মতো।
অনেক সেলিব্রিটি ডোজকয়েনের পক্ষে নিজেদের সমর্থন জানিয়েছেন। তবে এটির সবচেয়ে বড় 'পৃষ্ঠপোষক' বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক। এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এ কয়েন নিয়ে মজা করে তিনি এটির মূল্যমান আকাশচুম্বী করে ফেলেন।
২০২২ সালে লিউকেমিয়া ও যকৃতের রোগে অসুস্থ হয়ে পড়ে কাবোসু।