ঢাবি শিক্ষক সামিয়া রহমানের পদাবনতি অবৈধ: হাইকোর্টের রায় বহাল রাখলেন আপিল বিভাগ
গবেষণা জালিয়াতির ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমানের পদাবনতির আদেশকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
রোববার (২৬ মে) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চ সামিয়া রহমানের পদাবনতির সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ঢাবি কর্তৃপক্ষের আপিল অকার্যকর বলে খারিজ করে দেন।
এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ৪ আগস্ট বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সামিয়া রহমানের পদাবনতির আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেন। সেইসঙ্গে তাকে সব সুযোগ-সুবিধাসহ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। রোববার ঢাবির সেই আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের আদেশই বহাল রাখলেন আপিল বিভাগ।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সামিয়া রহমান ও মারজানের যৌথভাবে লেখা 'আ নিউ ডাইমেনশন অভ কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার: আ কেস স্ট্যাডি অভ দ্য কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম' শিরোনামের আট পৃষ্ঠার একটি গবেষণা প্রবন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সোশ্যাল সায়েন্স রিভিউ' জার্নালে প্রকাশিত হয়।
অভিযোগ ওঠে, ওই প্রবন্ধটি ১৯৮২ সালে শিকাগো ইউনিভার্সিটির জার্নাল 'ক্রিটিক্যাল ইনকোয়ারি'তে প্রকাশিত ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকোর 'দ্য সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার' নামের একটি নিবন্ধ থেকে প্রায় পাঁচ পৃষ্ঠার হুবহু নকল।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এক লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ কথা জানিয়েছিল ইউনিভার্সিটি অভ শিকাগো প্রেস।
পরে ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি গবেষণায় জালিয়াতির শাস্তি হিসেবে ঢাবি শিক্ষক সামিয়া রহমানের পদাবনমন ঘটে। ওই বছরের ৩১ আগস্ট সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে এক ধাপ নামিয়ে সহকারী অধ্যাপক করে দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সামিয়া রহমান। এরপর ২০২২ সালের ৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।