ঢাকা–নিউইয়র্ক ফ্লাইটের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদা পরিষ্কার নয়: বিমানমন্ত্রী
ঢাকা–নিউইয়র্ক রুটে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এএফএ)-এর চাহিদার বিষয়ে বাংলাদেশ পরিষ্কার নয় বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
'ঢাকা–নিউইয়র্ক ফ্লাইটের ব্যাপারে তারা [এফএএ] আমাদের কিছু অবজারভেশন [পর্যবেক্ষণ] দিয়েছে। যখনই তারা এসেছে, আমাদের তিন–চারটা অবজারভেশন দিয়েছে; আমরা একটা-একটা করে পূরণ করেছি — কখনো সিকিউরিটি [নিরাপত্তা] নিয়ে, কখনো অন্য ব্যাপারে।
'কিন্তু, এফএএ কী চায়, সেটা এখনো আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। এটা দুঃখজনক যে, তারা একটা করে অবজারভেশন দেয়, পরে আর কিছুই হয় না,' বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আমি আগেও মন্ত্রী থাকাকালীন যখন বোয়িংয়ের বিমান কিনেছি, তখনও আমরা বলেছিলাম নিউইয়র্কে আমাদের স্লট দিতে হবে। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা চেষ্টা অব্যাহত রাখছি।'
তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজের অগ্রগতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ফারুক খান বলেন, 'এখন পর্যন্ত টার্মিনাল ভবনের ৯৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে বাকি ৩ শতাংশের মধ্যে কো-অর্ডিনেশন [সমন্বয়] ও টেস্টিংয়ের [পরীক্ষণ] মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়ে গেছে।'
চলতি বছরের শেষ দিকে বা আগামী বছরের শুরুতে তৃতীয় টার্মিনাল চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিমানমন্ত্রী।
বর্তমানে ঢাকা থেকে লন্ডন, ম্যানচেস্টার ও টরন্টো — এ তিন বড় রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। তবে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ইউরোপের অন্য রুট এবং যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায় সংস্থাটি।
গত বছরের মে মাসে নিউইয়র্কে ফ্লাইট চালুর জন্য আবেদন করা হয়। এরপর গত ডিসেম্বরের শুরুতে শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করে বেশকিছু ব্যাপারে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে ঢাকা–নিউইয়র্ক রুটে বিমানের ফ্লাইট চললেও অর্থনৈতিক সংকটে ২০০৬ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়।