আগস্ট এলেই ২০১০ সালে ফিরে যান সিদ্দিকুর
ব্রুনাই ওপেন, সিদ্দিকুর রহমানের ভাগ্য বদলের টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশি এই গলফরের তারকা হয়ে ওঠার টুর্নামেন্ট। ২০১০ সালের ২ আগস্ট চ্যাম্পিয়নের মুকুট জিতে বিশ্ব গলফে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিলেন সিদ্দিকুর। এই দিনটা এলে তাই সিদ্দিকুর ফিরে যান ২০১০ সালে। এই দিনটার কথা মনে পড়লে গর্ব হয় তার, গলফ খেলার স্বার্থকতা খুঁজে পান তিনি।
২ আগস্টে ব্রুনাই ওপেন জেতার ১০ বছর পূর্ণ হলো সিদ্দিকুরের। দিনটি আসতেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন দেশসেরা এই গলফার। প্রতি বছর ২ আগস্টে স্মৃতির পাতা উল্টে দেখেন তিনি।
২ আগস্ট সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সিদ্দিকুর লিখেছেন, 'আজকের দিনটা আমার জন্য খুবই বিশেষ। প্রতি বছর এই দিনটা আমাকে আমার ক্যারিয়ারের পুনর্জন্মের কথা মনে করিয়ে দেয়। আমার প্রথম এশিয়ান ট্যুর জয়ের ১০ বছর পূর্তি উদযাপন করছি।'
দিনটা নিয়ে ভালো লাগার শেষ নেই সিদ্দিকুরের। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি বলেন, 'এই দিনটা এলে দারুণ এক ভালো লাগা কাজ করে। আবার খারাপও লাগে এই ভেবে যে, জীবন থেকে ১০টা বছর চলে গেল। যদিও মনে হয় কয়েক মাস আগে খেললাম, জিতলাম। এই টুর্নামেন্টের কথা কেবল আজকের দিনেই নয়, সব সময়ই মনে পড়ে। এখনও চোখের সামনে ভাসে। এই টুর্নামেন্টই আমার ক্যারিয়ার বদলে দিয়েছে।'
ব্রুনাই ওপেন জয়ের পর ২০১৩ সালে ভারতের দিল্লিতে আরেকটি এশিয়ার ট্যুরের শিরোপা জেতেন সিদ্দিকুর। এমন আরও অনেক টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে চান তিনি। যেন পুরো বছর ধরেই স্মৃতি রোমন্থন করার মতো সুখময় ঘটনা থাকে তার ক্যারিয়ারজুড়ে।
সিদ্দিকুর বলেন, 'আরও অনেক টুর্নামেন্ট জিততে চাই। যেন বছরে বেশ কয়েকবার এমন সুখময় স্মুতি মনে করতে পারি। এখন তো মাত্র দুটি বড় টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। আরও জিততে চাই। নিজেকে আরও উপরে দেখতে চাই ভবিষ্যতে। এ কারণে আগের চেয়ে আরও বেশি করে কঠোর পরিশ্রম করছি। হয়তো আগামীতে স্মৃতি রোমন্থন করার মতো আরও বেশি ঘটনা থাকবে।'
লম্বা ক্যারিয়ারে দেশি-বিদেশি অনেক শিরোপাই জিতেছেন সিদ্দিকুর। ব্রুনাই ওপেনের চেয়েও দামি টুর্নামেন্টে নিজেকে সেরা প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশি এই গলফার। কিন্তু ব্রুনাই ওপেন জয়কেই ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে করেন তিনি। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিদ্দিকুর জানান, ব্রুনাই ওপেন না জিতলে তার ক্যারিয়ার ২০১০ সালেই থেমে যেতে পারতো।