দিল্লির পরে এবার নাগপুরেও তাপ পরিমাপ ব্যবস্থা বিগড়েছে, জানাল ৫৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দিল্লিতে দিনের বেলায় ৫২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল বলে একদিন আগেই জানায় ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)। এরপরেই শুক্রবার তাঁদের নাগপুরের আবহাওয়া স্টেশনে শুক্রবার ৫৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
দিল্লির মুঙ্গেশপুর আবহাওয়া স্টেশনের মতো এখানেও বৈদ্যুতিক সেন্সরের গোলযোগে এত উচ্চ তাপ রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএমডি।
মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাগপুরের আবহাওয়া কেন্দ্রটি একটি স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া স্টেশন (এডব্লিউএস)। আইএমডির প্রচলিত আবহাওয়া কেন্দ্রগুলোতে আবহাওয়াবিদরা থার্মোমিটার দিয়ে দিন ও রাতের বিভিন্ন সময়ের তাপমাত্রা পরিমাপ করেন। কিন্তু, ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রার তারতম্য মাপতে স্বয়ংক্রিয় সেন্সরের ওপর নির্ভর করে এডব্লিউএস।
মানবকর্মীদের তুলনায় সেন্সরের তথ্যকে নির্ভুল বলে মনে করা হলেও– যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেন্সর রিডিংয়ে ভুল তথ্য আসার ঝুঁকি থাকে। আগে থেকে শনাক্ত করা বা তা সারানো জটিল ও সময়সাধ্য।
এক বিবৃতিতে আইএমডি বলেছে, গত ৩০ মে নাগপুরে ৫৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার তথ্য সঠিক নয়, এবং এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। নাগপুর সিটির এডব্লিউএস আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্রের (আরএমসি) আওতাধীন, যা বর্তমানে ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। নাগপুরের আরএমসি এটি সারাইয়ের কাজ করছে।"
বৈদ্যুতিক সেন্সর বিরূপ আবহাওয়া পরিস্থিতিতে যেকোনো সময়ে ত্রুটির শিকার হতে পারে। সেন্সর বা এর সুরক্ষা কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং অন্যান্য পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির মতো বিবিধ কারণে এটি ঘটতে পারে বলে জানানো হয় বিবৃতিতে।
আইএমডি জানায়, বৈদ্যুতিক সেন্সরের প্রদত্ত ভুল রিডিং শনাক্ত করার মতো প্রশিক্ষণ আছে তাঁদের কর্মীদের। এই ধরনের ভুল তথ্য তাঁদের আবহাওয়া তথ্যের প্রাথমিক বিশ্লেষণই বাদ পড়ে যায়। ৩০ মে তারিখে নাগপুরের প্রকৃত তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা রেকর্ড করেছে নাগপুরের কেন্দ্রীয় তুলা গবেষণা সংস্থা।
অনুবাদ: নূর মাজিদ