শনিবার নয়, মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে রোববার সন্ধ্যায়
টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। শনিবার (৮ জুন) তার শপথ নেওয়ার কথা থাকলেও পেচ্ছাচ্ছে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। খবর আনন্দবাজার-এর।
সুত্রে জানা গেছে, শনিবারের বদলে মোদি পরদিন রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন।
গত মঙ্গলবার লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মোদি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দিয়েছেন তিনি। রাষ্ট্রপতি তার ইস্তফা গ্রহণ করেছেন।
মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল, ভুটানের রাজা জিগমে খেসর নামগিয়াল ওয়াংচুক।
মঙ্গলবার দেশের ৫৪৩টি আসনের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এনডিএ পেয়েছে ২৯২টি আসন। বিরোধী জোট 'ইনডিয়া' পেয়েছে ২৩৩টি আসন। অন্যান্য দলের প্রাপ্ত আসনসংখ্যা ১৮টি।
এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ২০১৪ এবং ২০১৯-এর মতো এ বার বিজেপি একক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কারণ, ৫৪৫ আসনের (দু'টি মনোনীত আসন-সহ) লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭৩টি আসন। বিজেপি একক ভাবে জিতেছে ২৪০টি আসন।
তাই সরকার গঠন করতে তাদের শরিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে বুধবারই এনডিএ-র শরিকদের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসেছিলেন মোদি, অমিত শাহেরা। দিল্লিতেই বুধবার সন্ধ্যায় বৈঠক হয়েছে 'ইনডিয়া' জোটের শরিকদেরও।
এনডিএ শরিকদের ভরসায় সরকার গড়তে হবে মোদিকে।
বিজেপির এ এনডিএ জোটের সবচেয়ে বড় শরিক হলেন নীতিশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডু। তাদের দল যথাক্রমে ১৬ এবং ১২টি আসন পেয়েছে। সরকার গঠনে এই দুইজনের দল মোদিকে বড় সমর্থন দিচ্ছেন। এর বদলে অবশ্য নীতিশ চার পূর্ণমন্ত্রী ও একটি প্রতিমন্ত্রী পদ এবং চন্দ্রবাবু তিনটি পূর্ণমন্ত্রী ও দুটি প্রতিমন্ত্রীর পদ চেয়ে তদবির করেছেন। শুধু তাই নয়, স্পিকার পদও চাইছেন চন্দ্রবাবু।
এই পরিস্থিতিতে কোনও একটি শরিক দলও যদি বেঁকে বসে, তবে সমীকরণ বদলে যেতে পারে। অনেকের মতে, সেই কারণেই বেশি সময় নিতে চাইছেন না মোদি।
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর্যালোচনা করতে বুধবার বৈঠকে বসেন মোদি। সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক শুরু হয়। সেটিই ছিল দ্বিতীয় মোদি সরকারের মন্ত্রী পরিষদের শেষ বৈঠক। সেখানেই শপথগ্রহণের দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়েছে বলে খবর ছিল। বৃহস্পতিবার যদিও শপথের দিন বদলের খবর প্রকাশ্যে এল।