শ্রম রপ্তানিতে মুদ্রা পাচারের অভিযোগ তদন্তের আহ্বান ব্যবসায়ীর
মালয়েশিয়ায় শ্রম রপ্তানির আড়ালে বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের অভিযোগ তদন্তের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছেন এক ব্যবসায়ী।
ইউনাইটেড এক্সপোর্ট লিমিটেড নামক একটি রিক্রুটিং এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম রফিক ২৭ মে কোম্পানির লেটারহেডে [প্যাড] এ আবেদন করেন।
আবেদনে রফিক দাবি করেছেন, কেবল জনশক্তি রপ্তানি খাত থেকে ৩.২ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে। এছাড়া মালয়েশিয়ায় প্রতিটি বিমান টিকিটে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সর্বনিম্ন ৩০০ ডলার করে কমপক্ষে ২৪০ মিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে।
চিঠিতে তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশি একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক মো. আমিন নূর ও তার মালয়েশিয়ান অংশীদার এ সিন্ডিকেটের মূল হোতা। তিনি আরও অভিযোগ করেন, এ সিন্ডিকেট এতটাই শক্তিশালী যে, সরকারি কোনো গোয়েন্দা সংস্থা তাদের তদন্ত করেনি।
এ ব্যবসায়ী দাবি করেন, প্রায় দুই লাখ বিদেশি শ্রমিক মালয়েশিয়ায় বিনা খরচে সরাসরি নিয়োগ পেয়েছেন। কিন্তু সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যের ফলে বাংলাদেশি শ্রমিকেরা বিনা খরচে মালয়েশিয়া যেতে পারেননি।
এসএম রফিক তার আবেদনে উল্লেখ করেন, সিন্ডিকেটটির সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের যোগসাজশের কারণে এটি বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে। এটির বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত হলে সব বেরিয়ে আসবে বলেও জানান তিনি।