নাসিম-আমির-রউফে ভারতকে অল্পতেই আটকালো পাকিস্তান
প্রথম তিন ওভারের মধ্যে বিরাট কোহলি ও অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে হারালেও রান তোলার গতি ঠিক ছিল ভারতের। সেখান থেকে জুটি গড়ে দলকে ঠিক পথে ফেরান ঋষভ পন্ত ও অক্ষর প্যাটেল। কিন্তু এই জুটি ভাঙতেই হুড়মুড়িয়ে পড়ে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ। নাসিম শাহ, মোহাম্মদ আমির, হারিস রউফদের বিপক্ষে কেউ-ই দাঁড়াতে পারেননি, বড় হয়নি ভারতের সংগ্রহও।
রোববার নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে 'এ' গ্রুপের ম্যাচে ১৯ ওভারে ১১৯ রানেই অলআউট হয়ে গেছে ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটা তাদের চতুর্থ সর্বনিম্ন সংগ্রহ। প্রথমে ব্যাটিং করার দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ। আগেরটি ছিল ৭ উইকেটে ১১০ রান, ২০২১ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ৩০ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস। ভারতের কেবল তিনজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করেন।
দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান কোহলি। পাকিস্তানের পেসার নাসিমকে চার মারার পরের বলেই কভার পয়েন্টে ধরা পড়েন ৩ বলে ৪ রান করা কোহলি। পরের ওভারে থামেন রোহিতও। শাহিন শাহ আফ্রিদিকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে হারিস রউফের হাতে ধরা পড়েন ১২ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৩ রান করা ডানহাতি এই ওপেনার।
১৯ রানে ২ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন পন্ত ও অক্ষর। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৩৩ বলে ৩৯ রান করেন তারা। ভালোই ব্যাটিং করছিলেন এ দুজন। কিন্তু এই জুটি ভেঙে আবারও ভারতের চাপ বাড়ান নাসিম। কোহলিকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানা ডানহাতি এই পেসার ফিরিয়ে দেন ১৮ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২০ রান করা অক্ষরকে। পরের উইকেটেও জুটি হয়, ২২ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন পন্ত ও সূর্যকুমার যাদব।
এই জুটি ভাঙতেই ভারত দিক হারিয়ে বসে, পাকিস্তানের পেসারদের সামনে রীতমতো আত্মসমর্পণ করে বসে তারা। ৩১ বলে ৬টি চারে ইনিংস সেরা ৪২ রান করেন পন্ত। যা ভারতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। সূর্যকুমার ৭, শিভম দুবে ৩ ও হার্দিক পান্ডিয়া ৭ রান করেন।
ভারতকে সবচেয়ে বেশি ভোগানো নাসিম ৪ ওভারে ২১ রানে নেন ৩টি উইকেট। আমিরও চিলেন দুর্বার, ৪ ওভারে ২৩ রানে ২টি উইকেট নেন বাঁহাতি এই পেসার। প্রথম ওভারে ১৩ রান খরচা করলেও পরে পুষিয়ে নেন রউফ। ৩ ওভারে ২১ রান খরচায় তার শিকারও ৩ উইকেট। বাকি উইকেটটি নেন শাহিন আফ্রিদি, চ৪ ওভারে তার খরচা ২৯ রান।