যশোরে গরুর দাম বাড়তি, ছোট গরুতে আগ্রহী ক্রেতারা
পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র একদিন বাকি থাকায় ক্রেতাদের ঢল নেমেছে যশোরের পশুর হাটগুলোতে।
তবে ব্যবসায়ীরা গরুর দাম বেশি চাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন অনেক ক্রেতা। দাম বেশি হওয়ায় অনেকে বড় গরুর পরিবর্তে ছোট আকারের গরু বেছে নিচ্ছেন।
যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হক জানান, হাটে অসুস্থ পশু পরীক্ষার জন্য ১০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে।
বিগত বছরের মতো অনলাইনে কোরবানির পশু কেনার সুবিধার পাশাপাশি বাজারে নগদহীন অর্থ প্রদানের সুবিধা রাখা হয়েছে জেলার হাটগুলোতে।
যশোরের সবচেয়ে বড় হাট সাতমাইল গরুর বাজারে গরু ছাড়াও মহিষ, ছাগল, ভেড়াও বিক্রির জন্য তুলেছেন বিক্রেতারা।
দাম জানতে চাইলে বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, দেশি গরুর দাম মানভেদে এক লাখ ২০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা।
শহরের বেজপাড়ার জামিলুর রহমান নামক এক ক্রেতা জানান, গত বছর গরুর দাম ছিল ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা, এ বছর দাম এক লাখ টাকা ছাড়িয়েছে।
কাঁচা চামড়ার ব্যবসা কমে যাওয়ার আশঙ্কা
যশোরের রাজারহাট উপজেলার ব্যবসায়ীরা কোরবানির পশুর দাম বেশি হওয়ায় কাঁচা চামড়ার ব্যবসা কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
রাজারহাটের একজন চামড়া ব্যবসায়ী মোস্তাক হোসেন প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের পরিবর্তে ট্যানারি মালিকদের সরকারের ব্যাংকঋণ দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
'সরকার ট্যানারি মালিকদের ব্যাংকঋণ দিলেও আমাদেরকে দেয় না। তাছাড়া বর্তমান বাজারব্যবস্থা অস্বাভাবিক। মানুষের সবক্ষেত্রে ব্যয় বাড়লেও আয় বাড়ছে না,' বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আগে অনেকে ব্যক্তি পর্যায়ে আলাদা করে কোরবানি দিতেন, তারা এখন কয়েকজন মিলে একসঙ্গে পশু কোরবানি দিতে চাচ্ছেন। এর ফলে চামড়া ব্যবসা কমে যেতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেন।