বাংলাদেশে ফেসবুক এজেন্টের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির মামলা
বাংলাদেশে ফেসবুকের অনুমোদিত এজেন্ট এইচটিটিপুল বাংলাদেশ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ৯৩ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে মামলা করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার এই মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান।
এই কর্মকর্তার উদ্বৃতি দিয়ে সময় টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালিয়ে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা সংস্থা দেখতে পায় যে, নিবন্ধিত স্থানে প্রতিষ্ঠানটির কোন কার্যক্রম বা অস্তিত্ব নেই। ভ্যাট আইন অনুসারে অফিস পরিবর্তন করতে হলে ভ্যাট অফিসকে জানাতে হবে। তাদের এই পরিবর্তনের কোন নোটিস দেয়া হয়নি।
অনুসন্ধানে ভ্যাট গোয়েন্দারা আরো দেখতে পান যে, এই এজেন্ট তিন মাস পূর্বে নিবন্ধন নিলেও এখন পর্যন্ত কোন রিটার্ন দাখিল করেননি। ভ্যাট আইন অনুসারে প্রতি মাসে রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। এইচটিটিপুল প্রতি মাসে রিটার্ন দাখিল না করায় প্রতিষ্ঠানটি কর্তৃক কর্তনকৃত ভ্যাট সরকারি কোষাগারেও জমা হয়নি।
ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, "ফেসবুক এজেন্টের ঠিকানা সঠিকভাবে ব্যবহার না করায় এবং মাসিক রিটার্ন জমা না করায় তাদের হাতে থাকা সরকারের ৯৩ লাখ ৩২ হাজার টাকা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই টাকা সরকারের কোষাগারে জমা না হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হওয়ায়, মাসিক রিটার্ন দাখিল না করায় এবং অনুমোদন ব্যতিরেকে অস্তিত্বহীন হওয়ায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।"
মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেট অফিসে পাঠানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি আরো অনিয়মের সাথে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছে ভ্যাট গোয়েন্দা সংস্থা।
ভ্যাট গোয়েন্দার অনুসন্ধান অনুযায়ী, স্থানীয় ফেসবুক এজেন্ট ইতোমধ্যে ৩১টি প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে ১৯৮টি চালানে ছয় কোটি ২২ লাখ টাকার বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করেছে। এতে তারা ১৫ শতাংশ হারে ৯৩ লাখ ৩২ হাজার টাকার ভ্যাট কর্তন করেছে। ফেসবুক এজেন্টের ঠিকানা সঠিকভাবে ব্যবহার না করায় এবং মাসিক রিটার্ন জমা না করায় তাদের হাতে থাকা ভ্যাটের ৯৩ লাখ ৩২ হাজার টাকা ফাঁকির সম্ভাবনা রয়েছে।