সৈন্যের সংকট, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হাজার হাজার কয়েদিকে মুক্তি দিচ্ছে ইউক্রেন
রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দুই বছরেরও বেশি সময় লড়াইয়ের পর সৈন্য ঘাটতি মেটাতে এবার কয়েদিদের যুদ্ধে পাঠাচ্ছে ইউক্রেন। গত মাসে ইউক্রেনের আইন সভায় বিল পাশ হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত তিন হাজারেও বেশি বন্দিকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
ইউক্রেনের বিচার মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, আরও প্রায় ২৭ হাজার বন্দি এই প্রকল্পের আওতায় বিবেচনাধীন আছে। বিষয়টি অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে নিশ্চিত করেছেন দেশটির উপ-বিচারমন্ত্রী ওলেনা ভিসোৎস্কা।
ওলেনা বলেন, 'অনেক কয়েদি আছে যারা দেশের জন্য কিছু করে বীরের মতো ঘরে ফিরতে চায়'।
ইউক্রেনের নিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলের পেনাল কলোনিতে ডাকাতির দায়ে দুই বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন ২৭ বছর বয়সি আর্নেস্ট ভলভাচ। বর্তমানে তিনি কারাগারের রান্নাঘরে কাজ করেন, খাবার পরিবেশন করেন। ভলভাচ জানান তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চান, কারাগারে অলস বসে থাকার চেয়ে ইউক্রেনের হয়ে অবদান রাখতে চান তিনি। সেনাবাহিনীতে তালিকাভুক্ত হওয়ার এই সুযোগকে তিনি তার জীবনে শেষ পর্যন্ত অর্থবহ কিছু করার সুযোগ হিসেবে দেখছেন।
বন্দিদের সাক্ষাৎকার, মেডিকেল চেক-আপ এবং তাদের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর্যালোচনার পরে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়া হয়।
যাচাই বাছাইয়ের পরে, প্যারোলে মুক্তিপ্রাপ্তদের দ্রুত প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রেরণ করা হয় যেখানে তারা কীভাবে অস্ত্র এবং অন্যান্য যুদ্ধের মৌলিক বিষয়গুলি পরিচালনা করতে হয় তা শিখে। তারপর নির্দিষ্ট সামরিক ইউনিটে যোগদানের পরে তাদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে সরকারের পাঠানো পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটির কারাগারে বন্দির সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজার।
তবে ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন, দুই বা ততোধিক ব্যক্তিকে হত্যা বা ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে অপরাধের মতো গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের এই সুযোগ দেয়া হবে না। যেসকল কয়েদির সাজার মেয়াদ আর তিন বছর বাকি আছে কেবল তারাই যুদ্ধে যোগ দিতে পারবে।
অনুবাদ: সাকাব নাহিয়ান শ্রাবন