ভারতে পদপিষ্টে মৃত্যু: 'ভোলে বাবা' কে? আসলেই সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা!
ভারতের উত্তরপ্রদেশে হাথরস জেলার ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ১১৫ জন নিহতের ঘটনায় বইছে শোক। যাদের বেশিরভাগই নারী।
মূলত ভোলে বাবা নামের এক গুরুর সভায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। সেখানে আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
ভোলে বাবার প্রকৃত নাম নারায়ণ সরকার হরি। যিনি প্রায়শই দাবি করেছিলেন যে, তিনি একজন সাবেক গোয়ন্দা কর্মকর্তা।
ভোলে বাবার জন্ম উত্তরপ্রদেশের ইটা জেলার বাহাদুর নাগরি গ্রামে৷ তার আসল নাম সুরজ পাল। তার বাবা নান্নে লাল ছিলেন একজন কৃষক। ভোলে বাবার আরেক ভাই রয়েছে। এক ভাই মারা গেছেন।
গ্রামে প্রাথমিক পড়াশোনা শেষে ভোলে বাবা ইউপি পুলিশের স্থানীয় গোয়েন্দা ইউনিটের হেড কনস্টেবল পদে যোগ দেন। তবে সুরাজের দাবি, তিনি কলেজ পেরোনোর পর থেকে আইবির হয়ে কাজ করতেন, পরে ধর্মকর্মে মন দেন। ১৯৯৯ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে দেন। বদলে ফেলেন নিজের নাম থাকাকালীন আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকে পড়েন।
পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় শোক জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও লোকসভার বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলছেন, প্রায় ৫০ হাজার মানুষ গতকালের আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন। আলিগড় শহরের বিভাগীয় কমিশনার চৈত্র ভি বলেন, অনুষ্ঠানের সময় সেখানে ছিল তীব্র গরম। গরমে অতিষ্ঠ মানুষজন অনুষ্ঠান শেষে পানির জন্য একযোগে ছোটাছুটি শুরু করেন। এতে কাদাপানিতে একজনের ওপর অন্যজন পড়ে আহত হন। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় অনেকের।
ভারতে ধর্মগুরুদের সাধারণত গেরুয়া রংয়ের পোশাকে দেখা যায়। ব্যতিক্রম ভোলে বাবা। তিনি সাদা স্যুট আর টাই পরতে পছন্দ করেন। বিভিন্ন সময় তাঁকে কুর্তা-পায়জামা পরতেও দেখা গেছে।
রতি ভানপুর গ্রামে এ ঘটনার পর থেকে ভোলে বাবার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁকে খুঁজছে উত্তর প্রদেশের পুলিশ।