সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত
সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠিত ভোটে কট্টরপন্থী সাইদ জালিলিকে হারিয়ে তিনি ইরানের ১৪ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। আজ শনিবার (৬ জুলাই) ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সূত্র এমন তথ্য জানিয়েছে।
প্রথম দফার নির্বাচনে ইরানের ৬ কোটি ১০ লাখ ভোটারের মধ্যে মাত্র ৪০ শতাংশ ভোট দিয়েছিলেন। মাসুদ পেজেশকিয়ান তার মধ্যে ৫৩.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাইদ জালিলি ৪৪.৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
গত ২৮ জুন প্রথম দফার নির্বাচনে কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় পরবর্তীতে নিয়ম অনুযায়ী গতকাল (৫ জুলাই) দ্বিতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দফার ভোটে ৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথম স্থানে থাকা মাসুদ পেজেশকিয়ান ও ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সাইদ জালিলি এ দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, তিন কোটির বেশি ভোট গণনার পর মাসুদ পেজেশকিয়ান পেয়েছেন ১ কোটি ৭০ লাখের বেশি ভোট। আর সাইদ জালিলি পেয়েছেন ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি ভোট।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফার ভোটে ৪৯ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি ছিল।
ইরানে আগামী বছরের জুনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও গত ১৯ মে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট পদটি শূন্য হয়ে যায়। সংবিধান অনুযায়ী ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা থাকায় আগাম নির্বাচন ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না।
প্রথম দফায় পেজেশকিয়ান ও জালিলি ছাড়া কট্টরপন্থী পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ এবং কট্টরপন্থী মোস্তফা পুরমোহাম্মদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
৬৯ বছর বয়সী মাসুদ পেজেশকিয়ান একজন হৃদ্রোগবিষয়ক সার্জন। তিনি ২০০৮ সাল থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরের হয়ে ইরানের পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। নির্বাচনের আগে ইরানের প্রধান সংস্কারপন্থী জোটের সমর্থন পাওয়ার পাশাপাশি সাবেক দুই সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি ও হাসান রুহানিরও সমর্থন পেয়েছিলেন তিনি।