আমদানি নেই, অথচ বিদেশী সিগারেটে বাজার সয়লাব
বিদেশী সিগারেট আমদানিতে শুল্ক-কর ৬০০ শতাংশের কাছাকাছি – যে বাধা পেরিয়ে দেশে এ আমদানি হওয়া সম্ভব না বলেই মনে করা হতো। অথচ যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট এই বাধা অতিক্রম করছে; বন্দর থেকে চলে যাচ্ছে সারাদেশের বিভিন্ন এলাকার দোকানপাট, রাস্তার ধারের স্টলে। রাস্তার ধারের দোকান থেকে সিগারেট ক্রেতা প্রতি পাঁচজন ধূমপায়ীর মধ্যে একজনকেই দেখা যাবে তথাকথিত স্বল্পমাত্রার নিকোটিনের স্লিম সিগারেট নিতে।
এমনকী গ্রামগঞ্জের বাজারেও সাধারণত পাওয়া যায় এমন বিদেশী ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে- ওরিস, এসসে, মন্ড, ডানহিল ও ট্রিপল ফাইভ। এগুলি ব্যান্ডরোল নামে পরিচিত কোনও ট্যাক্স স্ট্যাম্প ছাড়াই প্যাকগুলিতে আসে, তাই আইন ভঙ্গকারী। শুল্ক বিভাগের কাছে এসব সিগারেট আমদানির কোনও রেকর্ড নেই, তাই এই উচ্চ-করযুক্ত পণ্য থেকে কোনও রাজস্ব অর্জিত হয় না।
অথচ চার বছর ধরে বিদ্যমান শুল্কের হার অনুযায়ী, ১০০ টাকা মূল্যের সিগারেট আমদানিতে ৫৯৬ টাকার বেশি শুল্ক ও কর প্রদেয় হয়। বাণিজ্যিকভাবে আমদানি করা সিগারেটের প্যাকেটে অবশ্যই ধূমপানের ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করে– বাংলায় মুদ্রিত সতর্কবার্তা থাকতে হবে। অথচ দেশের বাজারে অবাধে বিক্রি হওয়া বিদেশী ব্র্যান্ডগুলোর সিগারেটে এ ধরনের কোনও সতর্কবার্তা নেই।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার খায়রুল বাশার বলেন, "সেই অর্থে সিগারেট বাণিজ্যিকভাবে আমদানি করা হচ্ছে না। কূটনীতিকদের ব্যবহারের জন্য কূটনৈতিক বন্ডের মাধ্যমে কিছু সিগারেট আমদানি করা হয়।"
তিনি জানান, বর্তমান ব্যাগেজ বিধির আওতায় একজন এয়ার ট্রাভেলার বাংলাদেশে এক কার্টন (২০০ শলাকা) সিগারেট আনতে পারেন।
সিনথেটিক ফাইবার, সুইট কর্ন, অথবা শিল্পের অন্য কাঁচামালের কনটেইনারের আড়ালে এবং দেশে আসা ফ্লাইটের যাত্রীদের ব্যাগেজে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে দেশের বাজারে প্রবেশ করছে অবৈধ এসব সিগারেট।
সরকারের মোট রাজস্বের ১২ শতাংশই আসে তামাকখাত থেকে, তাই এখাতে শুল্ক ও কর ফাঁকির যেকোনো ঘটনায় কাস্টমসের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ। মাঝেমধ্যেই তাঁরা চোরাচালান ও মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে আনা বিদেশী সিগারেটের চালানও আটক করছেন বন্দরগুলোতে।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে সামান্যই ধরা পড়ে। কারণ, দেশের বাজারে বিদেশী সিগারেটের বাজার দখল এখন ২ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে।
গত ২৭ জুন ঢাকার হ্যামকো কর্পোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মিথ্যা ঘোষণায় থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা ৫০ লাখ শলাকা মন্ড ব্র্যান্ডের সিগারেট ধরা পড়ে কাস্টমস কর্মকর্তাদের হাতে, যার বাজারমূল্য ৫ কোটি টাকা। তবে এতে শুল্ক-কর ফাঁকির পরিমাণ প্রায় ৩০ কোটি টাকা।
এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে দুটি চালানে অফসেট পেপার ঘোষণায় সিগারেটের নকল ব্যান্ডরোল আমদানি করে চট্টগ্রামের আমদানিকারক বাপ্পু এন্টারপ্রাইজ, এবং আরাফাত এন্টারপ্রাইজ, যাতে প্রায় ২৩০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়।
দেশে আসা অবৈধ সিগারেটের তুলনায়, ধরা পড়ার পরিমাণ নগণ্য
চট্টগ্রাম বন্দরে এ ধরনের ছোট বড় আরো কিছু মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি চালান ধরা পড়ার তথ্য পাওয়া গেলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে পরিমাণ বিদেশী সিগারেট অবৈধ উপায়ে দেশে ঢুকছে, তার তুলনায় ধরা পড়ার পরিমাণ একেবারেই নগণ্য।
ছুরি, ব্লেড, রুটি প্রস্তুতকারক পণ্য, সিনথেটিক ফাইবার, স্টিম আয়রন, সুইট কর্ন, বেকিং পাউডার কিংবা শিল্পের কাঁচামালের আড়ালে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে দেশে আনা হচ্ছে উচ্চ শুল্কের সিগারেট।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অক্সফোর্ড ইকোনমিক্সের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে অবৈধ সিগারেটের ব্যবহার বা ভোগের পরিমাণ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের চেয়ে পাঁচগুণ বেড়েছে। এর ফলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। ২০১৫-১৫ অর্থবছরে অবৈধ সিগারেটের বাজার অংশীদারত্ব এক শতাংশের কম থাকলেও – ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে ৪ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি সিগারেট কোম্পানির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে টিবিএসকে বলেন, "চোরাচালান ও মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে আসা সিগারেট বর্তমানে দেশের মোট ভোগের কনজাম্পশনের (ভোগের) প্রায় ২ শতাংশ, এবং এটি ক্রমাগত বাড়ছে।"
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআরের সাবেক সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিন টিবিএসকে বলেন, "দেশে যে পরিমাণ অবৈধ সিগারেট মিস ডিক্লারেশনে (মিথ্যা ঘোষণায়) আসছে, তার খুবেই সামান্যই ধরা পড়ছে। মূলত আমদানিকারক, তার সিএন্ডএফ এজেন্ট, বন্দরের দায়িত্বে থাকা লোকজন এবং কাস্টমসসের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজসে এটা হচ্ছে।"
তিনি বলেন, সিগারেট আমদানির ক্ষেত্রে যে পরিমাণ শুল্ক-কর, তাতে বৈধভাবে আনার সুযোগ কম। এ কারণেই অবৈধভাবে আসছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওরিস, এসসে, মন্ড, ডানহিল ও ট্রিপল ফাইভ ব্র্যান্ডের সিগারেট দেশে উৎপাদনের অনুমোদন নেয়নি কোনো কোম্পানি। ফলে এগুলো বৈধভাবে তৈরির সুযোগ নেই। কিন্তু, সময়ে সময়ে চালান আটকের ঘটনা সত্ত্বেও– এসব সিগারেট দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে স্লিম সিগারেটের উচ্চ চাহিদার কারণে এসব সিগারেট ব্যাপকভাবে দেশে আসছে।
দামের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সিগারেটের বাজারের চারটি সেগমেন্ট বা স্তর রয়েছে, এগুলো হলো – প্রিমিয়াম বা অতি উচ্চ, উচ্চ, মাঝারি ও স্বল্পমূল্যের সিগারেট।
বাংলাদেশে সরকার নির্ধারিত মূল্যের ভিত্তিতে বাজারে চারটি সেগমেন্টের সিগারেট রয়েছে, যা প্রিমিয়াম (অতি উচ্চ), হাই (উচ্চ), মিডিয়াম (মাঝারি) ও লোয়ার (নিম্ন) মূল্যস্তরের হিসেবে বিবেচিত। এরমধ্যে আলোচ্য অবৈধ ব্র্যান্ডের সিগারেট প্রিমিয়াম ও হাই সেগমেন্টের তুলনায় কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
দেশে উৎপাদিত সিগারেটের বিক্রিতে ভাগ বসাচ্ছে অবৈধ সিগারেট
এনবিআরের তথ্য বলছে, সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে স্থানীয় কোম্পানিগুলোর প্রিমিয়াম ও হাই সেগমেন্টের সিগারেট বিক্রি কমেছে যথাক্রমে ২২ ও ১৯ শতাংশ।
এনবিআরের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে টিবিএসকে বলেন, "অবৈধ সিগারেট বিক্রি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সিগারেট বিক্রি কমার অন্যতম কারণ।"
অবৈধভাবে আনা ব্র্যান্ডের বাইরে স্থানীয়ভাবে নকল সিগারেট, জাল ব্যান্ডরোলের মাধ্যমেও অবৈধ সিগারেট বিক্রি হচ্ছে। প্রায়ই বিভিন্ন এলাকায় নকল সিগারেটের চালান, নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহারকারী কারখানা ধরা পড়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
দেশে রাজস্বের বড় অংশই আসে সিগারেট খাত থেকে, যদিও এর অপকারিতা ও স্বাস্থ্য ক্ষতি নিয়ে বিস্তর আলোচনা রয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকার এ খাত থেকে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছে, যা মোট রাজস্বের প্রায় ১২ শতাংশ।
চক্রের বড় অংশই ধরাছোঁয়ার বাইরে
এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট অন্য সূত্রগুলো বলছে, চট্টগ্রাম-ভিত্তিক একটি সংঘবদ্ধ চক্র বিদেশী সিগারেট এবং ব্যান্ডরোল আমদানি করছে। এ ক্ষেত্রে কাস্টমসের কিছু কর্মকর্তাও জড়িত রয়েছে।
এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের (সিআইসি) এবং কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর (সিআইআইডি) এর তথ্য অনুযায়ী, দেশের অবৈধ সিগারেট বাণিজ্যের বৃহৎ অংশ নিয়ন্ত্রণ করে চট্টগ্রামভিত্তিক বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো ও তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকোসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। গত মে মাসে কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠান দুটির নকল সিগারেট কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়।
যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর এবং বিজয় ইন্টারন্যাশনাল ও তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকোর মালিক আব্দুস সবুর লিটন বলেন, "কাস্টমস গোয়েন্দারা আমার কারখানায় কিছুই পাননি। তাদের কাছে প্রমাণ থাকলে, তারা নিশ্চয় মামলা করতেন।"
নকল ব্যান্ডরোল আটকের ঘটনায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস গত ১৬ ডিসেম্বর বাপ্পু এন্টারপ্রাইজ এবং ২৩ ডিসেম্বর আরাফাত এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে নগরের বন্দর থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করে। তবে খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিদেশী ব্র্যান্ডের সিগারেট আমদানির সঙ্গে এর বাইরেও একটি শক্তিশালী চক্র রয়েছে, যারা মূলত বন্দর ও কাস্টমসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে এ কাজটি করে থাকে।
চালান ধরা পড়ার পর আমদানিকারক, সিএন্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে মামলা হলেও – বিচারকাজ শেষ না হওয়ায় মূল চক্রের হোতারা অধরা থেকে যাচ্ছে।
রাজস্ব বিভাগ ও দেশের কাস্টমস গোয়েন্দা সূত্রগুলোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে অবৈধভাবে আমদানি করা সিগারেট আটকের পর করা ফৌজদারী মামলাগুলোর একটিরও বিচারকাজ শেষ হয়নি। অন্যদিকে দেশের এয়ারপোর্টগুলোতে অবৈধ সিগারেট নিয়ে ধরা পড়া যাত্রীদেরও অবৈধ সিগারেটের জন্য মামলার মুখোমুখি হতে হয় না। সিগারেটের কার্টন রেখে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সিগারেট আটকের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক ২০২২ সালে ১১টি পৃথক মামলা করে। এসব মামলায় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সাবেক ও বর্তমানে কর্মরত ৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ১১ জন আমদানিকারক ব্যবসায়ী, সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের ১৪ জন ও ৩ জন অনুপ্রবেশকারীকে আসামি করা হয়।
'কাস্টমস ব্যবস্থাপনার অটোমেশন ছাড়া অবৈধ সিগারেট আমদানি ঠেকানো সম্ভব নয়'
বন্দরগুলোতে কাস্টমসের আধুনিকায়ন ও শতভাগ স্ক্যানিং ছাড়া অবৈধ উপায়ে বিদেশী সিগারেট আমদানি ঠেকানো সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, "শতভাগ আমদানি পণ্য চালান স্ক্যানিং না করতে পারলে– অবৈধ সিগারেট ঠেকানো যাবে না। বর্তমানে এনবিআরের যে সক্ষমতা রয়েছে, তাতে হয়তো সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ আমদানি চালান স্ক্যানিং করা যাবে ।"
তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্বের সময় বন্দরে সার্ভিলেন্স টিম আমদানি পণ্য আনলোডিং পয়েন্টে বাধ্যতামূলক চেক করতো। কিন্তু বর্তমানে তা কঠিন, কেননা আমদানিকৃত কনটেইনারের সংখ্যা বেড়েছে বহুগুণ। এজন্য প্রযুক্তির উন্নতি না করলে– অবৈধভাবে আমদানি ঠেকানো কঠিন।
এছাড়া মাঠ পর্যায়েও নকল ব্যান্ডরোল, সিগারেট তৈরির কারখানা চিহ্নিত করতে তদারকি বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।
অভিযান চালাতে ডিসিদের সহায়তা চায় এনবিআরের গোয়েন্দা দল
এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, অবৈধ সিগারেট আমদানি ও সরবরাহ ঠেকাতে সিআইআইডি'র মহাপরিচালক মো. ফখরুল আলমকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ফখরুল আলম টিবিএসকে বলেন, "যেসব প্রতিষ্ঠান সিগারেটের উপকরণ আমদানি করে– সেসব প্রতিষ্ঠানের তথ্য পর্যালোচনার কমিটি ইতোমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করেছে। এরমধ্যে আমরা দুটি প্রতিষ্ঠান ভিজিট করেছি।"
এছাড়া গত এপ্রিলের শুরুতে এনবিআর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটি চিঠি পাঠিয়ে আমদানিকৃত চোরাই সিগারেট সরবরাহ বন্ধে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
বিদ্যমান আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী, সিগারেট আমদানির বিধান হলো দেশে উৎপাদিত সিগারেটের মত আমদানি করা সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে 'ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর' মুদ্রিত থাকতে হবে। তবে ওই চিঠিতে বলা হয়, ঢাকাসহ দেশের জেলা, উপজেলা এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বিদেশী সিগারেট পাওয়া গেলেও এ নিয়ম মানা হচ্ছে না।