রাজশাহীতে নর্দমায় ভেসে যাওয়া টাকার উৎস মেলেনি
রাজশাহীর নর্দমায় পাওয়া টাকাগুলো কার বা কাদের, তার খোঁজ মেলেনি এখনো। তবে রাজশাহী সড়ক পরিবহণ গ্রুপ বলছে, দুপুরের দিকে তারা রেল স্টেশনের পূর্ব দিকে রেলওয়ে হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষা রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের পাশে গত ১০ দশ বছরের পুরনো কাগজপত্র রেখেছিলেন। সেখান থেকে তার পাশেই নর্দমায় কিছু কাগজপত্র পড়ে গেছে। সেই কাগজপত্রের মধ্যে টাকা থাকলে সেখান থেকে নর্দমায় পড়তে পারে।
পুলিশ গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। লোকজন পুলিশকে জানিয়েছে, এক থেকে দেড় লাখ টাকা মিলেছে ওই নর্দমায়।
রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো বলেন, 'আমরা খুবই বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে গেছি। ভাবতেই পারিনি পুরনো কাগজের ভেতর টাকা থাকতে পারে।'
তিনি আরও বলেন, 'কাগজগুলো ২০১০ সালের আগের। পচে গেছে। পোড়ানোর উপায় নেই। তাই নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়। পরে নর্দমা থেকে টাকা পাওয়ার খবর শুনে আমরাও সেখানে যাই। তারপর ঘটনা দেখি।'
'পুরোনো কাগজপত্রের ভেতর সব মিলিয়ে দুই-তিন হাজার টাকা থাকলেও থাকতে পারে। আমরা তা জানি না। কিন্তু খবর ছড়িয়েছে লাখ লাখ টাকার,' বলেন তিনি।
নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মন বলেন, 'দুপুর ১২টার দিকে খবর পেয়ে সেখানে যাই। দেখি, অনেক লোক নর্দমার পানিতে টাকা কুড়োচ্ছে। লোকজনের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, লাখ খানেক টাকা তো হবেই!'
তিনি আরও বলেন, 'এখনো আমরা জানি না টাকাগুলো আসলে কার। সড়ক পরিবহনের টাকা কি না তা-ও নিশ্চিত নই। এজন্য আমি নিজেই থানায় জিডি করে তদন্তটি অব্যাহত রেখেছি।'
এর আগে, শনিবার দুপুরে হঠাৎ সারা রাজশাহী শহরে ছড়িয়ে পড়ে, রেলওয়ে হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে অবস্থিত নদর্মায় টাকা মিলছে। মুহূর্তে শত শত উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করে। অনেককেই নর্দমার পানিতে নেমে টাকা কুড়াতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ড্রেনে এক হাজার, ৫০০, ১০০, ২০, ১০ এবং ৫ টাকার নোট পাওয়া গেছে। টাকা ভাসতে দেখে প্রথমে একজন এবং পরে অনেক মানুষ নেমে পড়েন নর্দমায়।
ভাংড়ি বিক্রেতা টুলু তার কুড়ানো টাকাগুলো রেখেছিলেন পকেটেই। তিনি জানান, টাকাগুলো অফিসার্স মেসের পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে চলে যাচ্ছিল। নর্দমায় ভাসতে দেখে তিনি নেমে পড়েন।
আসলাম নামের আরেকজন জানান, তিনি এক হাজার ও ৫০০ টাকার নোট পেয়েছেন।