দেশের প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ছিলেন যে ১১ জন
বিএনপি সরকারের পদত্যাগের পর ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনের মাধ্যমে সংবিধানে যোগ হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি। তখন সাংবিধানিকভাবে প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
এর চারদিন পর সংবিধান অনুযায়ী ১০ জন উপদেষ্টাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা হলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, অধ্যাপক মো. শামসুল হক, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, শেগুফতা বখত চৌধুরী, এ জেড এম নাছিরুদ্দিন, সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, অধ্যাপক নাজমা চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রহমান খান।
এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার মোট ৮৬ দিন ক্ষমতায় ছিল। নিচে এ সরকারের ১১ জন উপদেষ্টার পরিচয় তুলে ধরা হলো।
মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ শপথ গ্রহণ করেন। তিনি পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, তথ্য মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের দায়িত্বও পালন করেন।
বিচারপতি হাবিবুর রহমান ১৯৩০ সালের ১ মে জন্মগ্রহণ করেন। মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ১৯৫১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে বিএ অনার্সসহ মাস্টার্স পাস করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি লন্ডনের লিঙ্কনস ইন থেকে বার-অ্যাট-ল ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৬১ সালে আধুনিক ইতিহাসে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৭২ সালে হাবিবুর রহমান হাইকোর্ট বার কাউন্সিলের ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময়ই তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্যপদ লাভ করেন।
১৯৭৬ থেকে ৮৫ সাল পর্যন্ত হাবিবুর রহমান সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক ছিলেন। পরবর্তী ১০ বছর অর্থাৎ ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর থেকে ৯১ সালের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ছিলেন। ১৯৯৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।
মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান দেশের একজন প্রথিতযশা সাহিত্যিক। তার প্রকাশিত গ্রন্থসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: 'বচন ও প্রবচন', 'মাতৃভাষার সপক্ষে রবীন্দ্রনাথ', 'রবীন্দ্র প্রবন্ধে সংজ্ঞা ও পার্থক্য বিচার', 'রবীন্দ্র রচনার রবীন্দ্র ব্যাখ্যা', 'রবীন্দ্রনাথের আর্ট সঙ্গীত ও সাহিত্য', 'গঙ্গাঋন্দি থেকে বাংলাদেশ', 'যথাশব্দ' ' ইত্যাদি।
সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ আইন, বিচার ও সংসদ এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৩২ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি অর্থনীতিতে বিএ অনার্স এবং প্রথম স্থান অধিকার করে একই বিষয়ে মাস্টার্স পাস করেন। ১৯৫৮ সালে তিনি লন্ডনের লিঙ্কনস ইন থেকে ব্যারিস্টারি পাস করেন। ব্যারিস্টার আহমেদ লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্স থেকে অর্থনীতিতে এমএসসি ডিগ্রিও লাভ করেন।
ব্যারিস্টারি পাস করার পর সৈয়দ ইশতিয়াক তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টে সংবিধান ও দেওয়ানী আইনে বুৎপত্তি অর্জনের মাধ্যমে দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। ১৯৭২ ও ৭৬ সালে যথাক্রমে তিনি অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল ও এটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ ১৯৭৮ সালে জাতিসংয় সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
ড: মুহাম্মদ ইউনুস
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ড: মুহাম্মদ ইউনুস বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং পরিবেশ ও বন- এই তিনটি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বিএ অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭০ সালে আমেরিকার ভেনডারবিন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাভ করেন পিএইচডি ডিগ্রি।
ব্যাংকিং-এ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে যুগান্তকারী ধ্যান-ধারণা নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন গ্রামীণ ব্যাংক। দেশের দরিদ্র ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী বিশেষভাবে মহিলাদের ক্ষুদ্র ঋণ সরবরাহ করে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাংকিং কর্মকান্ডের মূল বৈশিষ্ট্য।
ড: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ড: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৪৮ সালে তিনি নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। ড: মাহমুদ তার শিক্ষাজীবনের প্রতিটি পর্বে অসাধারণ কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন এবং এজন্য স্বর্ণপদকসহ বিভিন্ন পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। শিক্ষাজীবনে মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত প্রতিটি পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
ড: মাহমুদ ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৪ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব লাভ করেন ১৯৯৪ সালে।
অধ্যাপক মোহাম্মদ শামসুল হক
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অধ্যাপক মোহাম্মদ শামসুল হক শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।
১৯২৬ সালের ১ জুন কুমিল্লার লাকসাম থানার পাশাপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি অনার্সসহ মাস্টার্স পাস করেন। এ দুটি পরীক্ষায়ই তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। অধ্যাপক হক ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএস এবং লীডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৫২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন এবং কালক্রমে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। ১৯৮৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োেগ লাভ করেন। ১৯৯১-৯৫ সময়কালে অধ্যাপক শামসুল হক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন।
অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৪২ সালের ১৫ এপ্রিল সিলেটে তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন। দেশের একজন বিশিষ্ট প্রকৌশলী জামিলুর রেজা চৌধুরী ১৯৬০ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুরকৌশল বিভাগে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন।
১৯৬৫ সালে তিনি সাদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এডভান্সড স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভ করেন। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রমান্বয়ে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। জনাব চৌধুরী ইঞ্জিনিয়ারদের জাতীয় সংগঠন ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ার্সের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯২-৯৩ সালে।
শেগুফতা বখত চৌধুরী
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে শেগুফতা বস্তু চৌধুরী শিল্প, বাণিজ্য, পাট এবং বস্ত্র- এ চারটি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৩১ সালে হবিগঞ্জ জেলায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মান এবং যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমপিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৫৫ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিসে যোগ দিয়ে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি সরকারের বহু গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
শেষ পর্যায়ে জনাব চৌধুরী ১৯৮৭-৯১ সময়কালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন।
এজেডএম নাছিরুন্দিন
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে এজেডএম নাছিরুদ্দিন কৃষি, খাদ্য, মৎস্য ও পশু সম্পদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং ভূমি- এ পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৩৮ সালের ১৬ জুলাই তিনি চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার ইয়াকুবদন্ডী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৪ সালে জনাব চৌধুরী এসএসসি এবং ১৯৫৬ সালে এইচএসসি পাস করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে ইতিহাসে স্মাতক (সম্মান) ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিষয়ে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬০ সালে দ্বিতীয় শ্রেণীতে প্রথম হয়ে মাস্টার্স পাস করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়ে জনাব নাছিরুদ্দিন তার কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর যোগ দেন তৎকালীন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে। দীর্ঘ চাকরিজীবনে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। অবসর গ্রহণ করেন ১৯৯৫ সালের ১৬ জুলাই।
সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী যোগাযোগ, নৌ-পরিবহন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত- এই পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৪২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় জন্যগ্রহণ করেন সৈয়দ গন্ধর এলাহী। ১৯৬৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স পাস করেন।
তিনি সরকারের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংকের পরিচালর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। জনাব এলাহী বাংলাদেশের ফিনিশড লেদার এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য।
ড: নাজমা চৌধুরী
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ড: নাজমা চৌধুরী মহিলা ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৪২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নাজমা চৌধুরী সিলেটে জনাগ্রহণ করেছেন। ১৯৬২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স পাস করেন। ১৯৭২ সালে লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে লাভ করে পিএইচডি ডিগ্রি।
মাস্টার্স পাসের পরপরই ১৯৬৩ সালে টার বিশ্ববিদালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে তিনি শিক্ষকতা শুরু করেন। কালক্রমে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৭ সাল তিনি এই বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।
মেজর জেনারেল (অব) আব্দুর রহমান খান
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে মেজর জেনারেল (অব) আব্দুর রহমান খান স্বাস্থ্য, পরিবার কল্যাণ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।
ঢাকা জেলার দোহার থানার সাইনপুকুর গ্রামে ১৯২৮ সালে রহমান খান জন্মগ্রহণ করেন। তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন ঢাকা কলেজ থেকে। এরপর ১৯৫১ সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। একই বছর তিনি তৎকালীন সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরে যোগ দেন।
জনাব রহমান ১৯৮২ মেজর জেনারেল হিসেবে আর্মি মেডিকেল সার্ভিসের ডাইরেক্টর পদে নিযুক্ত হন। ১৯৮৫ সালে সামরিক বাহিনী থেকে অবসর নিয়ে বারডেমের ডাইরেক্টর জেনারেল এবং চিফ কনসালটেন্ট পদেও দায়িত্ব পালন করেন।
তথ্যসূত্র: প্রামাণ্য সংসদ, আমিনুর রশীদ সম্পাদিত