ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে ‘চাঁদা না পেয়ে’ আরও একটি হত্যার অভিযোগ
টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে আরও একটি ফৌজদারী দরখাস্ত দায়ের করা হয়েছে।
কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৩-এর (টেকনাফ) বিচারক হেলাল উদ্দিন অভিযোগটি আমলে নিয়েছেন। এ ছাড়া ঘটনার বিষয়ে আগে টেকনাফ থানায় কোনো মামলা হয়েছে কি না, ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তার প্রতিবেদন দাখিল করতে তিনি সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
টেকনাফের হোয়াইক্ষ্যং ইউনিয়নের পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ার মৃত আবদুল জলিল ওরফে পুতুইক্যার স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার এ ফৌজদারী দরখাস্তটি দায়ের করেন।
ফৌজদারী দরখাস্তে উল্লেখ করা হয়, '১০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় আসামিরা চলতি বছরের ৭ জুলাই আবদুল জলিল ওরফে পুতুইক্যাকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করে।'
মামলায় টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, হোয়াইক্ষ্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান, এএসআই আরিফুর রহমান, এসআই সুজিত চন্দ্র দে, জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, এসআই অরুণ কুমার চাকমা, এসআই নাজিম উদ্দিন, এসআই মো. নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া, এএসআই রাম চন্দ্র দাশ, কনস্টেবল সাগর দেব, কনস্টেবল রুবেলে শর্মা, হোয়াক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার, কাঞ্জর পাড়ার মৌলভী সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আমিনুল হককে আসামি করা হয়েছে।
এতে সাক্ষী করা হয়েছে ১০ জনকে। ফৌজদারী দরখাস্তে উল্লেখ করা হয়েছে ৩৮০, ৩৮৬, ৩০২ ও ৩৪ দণ্ডবিধি।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী আবদুল বারী, মাহমুদুল হক আদালতে ফৌজদারী দরখাস্তটির গ্রহণযোগ্যতার শুনানীতে অংশ নেন।
ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ হত্যার অভিযোগে মামলা চলছে।