সড়ক ও ফুটপাতের ওপর দোকান বা অন্য কিছু পেলে নিলামে বিক্রি করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সড়ক ও ফুটপাতের ওপর নির্মাণসামগ্রী, দোকান বা অন্য কিছু পেলে তা সাথে সাথে নিলামে বিক্রি করা হবে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে এ অভিযান শুরু হবে।
মেয়র রোববার সকাল পৌনে সাতটায় উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর থেকে ডিএনসিসির বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকার পরিচ্ছন্নতা, মশক নিধন, সড়ক মেরামত, চলমান উন্নয়নমূলক কাজ, অবৈধ ফুটপাত দখল, অবৈধ বিজ্ঞাপনী সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর থেকে শুরু করে মিরপুর, কচুক্ষেত, মগবাজার, গুলশান হয়ে বনানীতে শেষ হয় বিশেষ এই পরিদর্শন কার্যক্রম।
কালশীতে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি বলেন, 'এরপর পরিদর্শনে বের হলে সাথে ম্যাজিস্ট্রেট ও ট্রাক, লোডার, বুল্ডোজার ইত্যাদি থাকবে। আপনারা দেখেছেন সুন্দর ফুটপাতের ওপর নির্মাণসামগ্রী রেখে তা নষ্ট করছে। এই শহরে এগুলো বরদাশত করা হবে না। ১ অক্টোবর থেকে আমরা ঝুলন্ত তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।'
কালশী এলাকার আশেপাশের গলিতে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে দোকান বসানোর কারণে তিনি ক্ষুব্ধ হন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, কালশীতে একসময় অনেক জলাবদ্ধতা হতো, এখন আর সেরকম নেই। একইভাবে বনানী এয়ারপোর্ট রোডের জলাবদ্ধতাও নিরসন করা হয়েছে। আশকোনায় নতুন খাল খনন করা হয়েছে। মেট্রোরেল প্রজেক্টের কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনেরও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিন সকাল সাড়ে সাতটায় মেয়র উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে যান। সেখানে একটি বাড়ির সামনে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে নির্মাণ সামগ্রী রাখায় আতিকুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
পরিদর্শনকালে মেয়র আতিকুল ইসলাম মিরপুরের কিছু রাস্তার উন্নয়নকাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন। মিরপুর থেকে মগবাজার যাওয়ার পথে কচুক্ষেতে রাস্তার ওপর ময়লার ভাগাড় দেখে প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মগবাজার রেল ক্রসিংয়ের কাছে প্রধান সড়কে ফ্লাইওভারের নিচে রাখা ময়লার কন্টেইনারগুলো সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেখানে একটি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণ করার জন্য রাজউক ও হাতিরঝিল কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবেন বলে জানান মেয়র।
