বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা: ওসি প্রদীপের নামে আরও দুই মামলা
বন্দুকযুদ্ধের নামে আবদুল আমিন ও মফিদ আলম নামে দুজনকে হত্যার অভিযোগে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালতে (টেকনাফ-৩) মামলা দুটি দায়ের করা হয়।
আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে এ সংক্রান্ত মামলার নথিপত্র আগামী ৯ নভেম্বর উপস্থাপনের জন্য টেকনাফ থানাকে নিদের্শ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে বাদী পক্ষের আইনজীবী আবু মুছা মুহাম্মদ।
মামলা দুটিতে ৪৬ পুলিশ সদস্যসহ ১০ স্থানীয় বাসিন্দাকে (যারা পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন) আসামি করা হয়েছে।
বন্দুকযুদ্ধ ঘটনায় আবদুল আমিন নিহতের ঘটনায় তার ভাই বাদী টেকনাফের বাহারছড়ার নুরুল আমিন এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর তার ভাই আবদুল আমিনকে আটক করে পুলিশ। এরপর পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দেওয়ার পরও ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে হত্যা করা হয় আবদুল আমিনকে। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩৮ জনকে। যার মধ্যে রয়েছে পুলিশের ৩০ সদস্য।
মফিদ আলম নিহতের ঘটনায় বাদি তার ভাই টেকনাফের হোয়াইক্যং অঞ্চলের মোহাম্মদ সেলিম এজাহারে বলেন, ২০১৯ সালের ১১ জুলাই তার ভাইকে আটক করা হয়। এরপর ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। ছয় লাখ টাকা দেওয়ার পরও ১৪ জুলাই হত্যা করা হয় মফিদ আলমকে। এ ঘটনায় আসামি করা হয়েছে ১৮ জনকে। যার মধ্যে রয়েছে পুলিশের ১৬ সদস্য।
সিনহা নিহতের ঘটনার পর ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যার অভিযোগ ও সাংবাদিক নির্যাতনের দায়ে ইতোমধ্যে ১৩টি মামলা করা হয়েছে।